সাবেক ডিসি ও জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

কক্সবাজার সংবাদদাতা:কক্সবাজার সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৩:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫

সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নথি ও বাদীর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন।

জমি অধিগ্রহণে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রধান আসামি মো. রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য নথি ও বাদীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগে জড়িত অন্যরা হলেন—কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদ।

২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর কক্সবাজারের মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির অভিযোগে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাদী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী। দুদক তদন্ত শুরু করলেও নথি জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়া হয়।

দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামির নাম বাদ দেওয়ার জন্য জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলামের নির্দেশে নথিতে কৌশলে কাটাছেঁড়া করা হয়। সিআইডির হস্তলিপি বিশারদদের মাধ্যমে জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন গত ১ জুলাই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন জানান। আদালত তা গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

অন্যদিকে, দুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। তারা হলেন দুদকের কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম এবং কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শাহ হাবিবুর রহমান।

Nagad

দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, বাদীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আসামিদের নাম বাদ দেওয়া এবং মামলার নথি পরিবর্তনের মাধ্যমে দুর্নীতির চেষ্টার ঘটনা। আদালত এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে।