সোমবার ঢাকা অবরোধের ষোষণা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ঢাকা শহর অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ শেষে রাত ৩টার পর এই ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিলো নীলক্ষেত-ঢাবি এলাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সহায়তায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলেন। ‘সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের’ ফোকাল পার্সন আব্দুর রহমান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বৈরাচারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্তি থেকে বাতিল করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলাম। আমাদের দাবি ছিল চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেটি করেনি। উল্টো ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এসব নিয়ে বিভিন্ন মহলে স্মারকলিপি দিয়েছি। সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। এর প্রতিবাদে আমরা নীলক্ষেত গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণের নিচে অবস্থানকালে ঢাবি শিক্ষার্থী ও পুলিশ সম্মিলিতভাবে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”

Nagad

এই হামলার প্রতিবাদ এবং ঢাবি প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদের বিচার করার দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে রাত ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মিছিল করে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নেন।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত এলাকা পার করে দেয় ঢাবি শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।