প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ অসাধু চক্র পাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা
এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার বলেছেন, ‘আমরা এসএসসি পরীক্ষার মতো এবারও তৎপর আছি। প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ অসাধু চক্র পাবে না। কেউ গুজব ছড়ালেও আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।


শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমি কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম, সব পরীক্ষার্থী মাস্ক পরে এসেছে; সবাই নিরাপদ দূরত্বে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। ডেঙ্গুর বিষয়েও আগে থেকেই আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছি। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু-করোনা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। ফলে এ নিয়ে ভয়ের বা শঙ্কার কিছু দেখছি না।
কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে গাড়ি প্রবেশ ও অভিভাবকদের জটলা করতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেগুলো ঠিকঠাক মানা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সচিবালয় থেকে এখানে এসেছি। খুব বেশি জটলা বা ঝামেলা দেখিনি। যদিও আমি পরীক্ষা শুরুর পর এসেছি। তবে এটা সত্য যে, সব নিয়ম মানানো যাচ্ছে না। আমরা ধীরে ধীরে এগুলো নিয়ে কাজ করবো। আশা করি সামনে আরও ভালো পরিস্থিতি হবে।
কর্মদিবসে পরীক্ষা হওয়ায় যানজট ও ভোগান্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সি আর আবরার বলেন, ‘আমরা বিকেলে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখি। তবে দুপুরের নামাজ, খাবারের বিরতি এবং আবহাওয়ার বিষয়গুলোও ভাবতে হয়। সময়সূচি নির্ধারণে এসব দিক গুরুত্ব পায়।’
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পরীক্ষার প্রথম দিনে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৬০৫টি কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্র, মাদরাসা বোর্ডে ৪৫৯টি কেন্দ্রে আলিমের কোরআন মাজিদ এবং কারিগরি বোর্ডে ৭৩৩টি কেন্দ্রে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সকল বোর্ডের প্রথম দিনের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১টায়।