ইতিহাস গড়ে এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল
নারী ফুটবলের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে সাবিনা-কৃষ্ণারা।
মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত চলতি বাছাইপর্বে গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যকার ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় সি গ্রুপে শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হলো এশিয়া কাপের টিকিট।


এর আগে স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে, মিয়ানমার, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যে কেউই ৬ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারেনি।
এমনকি শেষ ম্যাচে যদি বাংলাদেশ তুর্কমেনিস্তানের কাছে হেরে যায়, আর মিয়ানমার বাহরাইনকে হারায়, তাহলেও হেড টু হেড বিবেচনায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশ আগেই মিয়ানমারকে পরাজিত করেছে। ফলে ৫ জুলাইয়ের ম্যাচ এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
১৯৮০ সালে কুয়েতে বাংলাদেশ পুরুষ দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলেছিল। এবার ৪৬ বছর পর নারী দল সেই সাফল্যের গণ্ডি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছে।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলের এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্জন। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য মূলপর্বে খেলার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষ এবং ক্রীড়ামহলে এই সাফল্য ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও গর্বের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি কেবল একটি টুর্নামেন্টে জায়গা পাওয়া নয়, বাংলাদেশের নারী খেলাধুলার ইতিহাসে এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেওয়া মুহূর্ত।