পুরুষদের তুলনায় নারীদের শয্যাসঙ্গী বেশি: সমীক্ষার রিপোর্ট

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২২

পরকীয়া, পরকীয়ার জেরে বিচ্ছেদ, এমনকী প্রাণহানির মতো ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। যতদিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে সম্পর্কে জটিলতা। একাধিক নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক কিংবা বিয়ের পর অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আঙ্গুল উঠানো হয়ে থাকে পুরুষদের উপরই। কিন্তু সমীক্ষা বলছে-উল্টো!

ভারতের জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদের সমীক্ষা বলছে, ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গড়ে পুরুষদের তুলনায় নারীদের শয্যাসঙ্গীর সংখ্যা বেশি।

সমীক্ষা অনুসারে, রাজস্থানে নারীদের শয্যাসঙ্গীর হার সবচেয়ে বেশি। রাজ্যটিতে নারীদের গড়ে ৩ দশমিক ১ জন শয্যাসঙ্গী রয়েছে, পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ১ দশমিক ৮।

তবে পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার তথ্য বলছে, স্ত্রী বা ‘লিভ-ইন’ সঙ্গী ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার নিরিখে সামগ্রিকভাবে নারীদের থেকে এগিয়ে পুরুষরাই। সমীক্ষার পূর্ববর্তী ১২ মাসে গড়ে চার শতাংশ পুরুষ এ ধরনের সম্পর্কে জড়িয়েছেন।

অন্যদিকে, স্থায়ী সঙ্গীর বাইরে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো নারীর সংখ্যা ০ দশমিক ৫ শতাংশ।

সবচেয়ে এগিয়ে রাজস্থানের নারীরা। ওই রাজ্যের নারীদের শয্যাসঙ্গী প্রায় ৩.১ জন, পুরুষদের সঙ্গী সংখ্যা ১.৮ জন। সমীক্ষার প্রতিবেদক জানাচ্ছে, চার শতাংশ পুরুষ এই ধরনের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। স্থায়ী সঙ্গীর বাইরে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো নারীর সংখ্যা শূণ্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।

Nagad

সমীক্ষায় আরো বলা হয়েছে, কর্মব্যস্ত ক্যারিয়ারের বিষয়টি প্রভাব ফেলছে নারী পুরুষ সম্পর্কে। বিশেষ করে বিয়ে বা লিভ ইনের ক্ষেত্রে। প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সময় কমে যাচ্ছে। এর কারণে ক্রমশই প্রিয়জনের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। তুচ্ছ কারণে চলে ঝগড়াঝাটি আর অশান্তি। সম্পর্ক হারাচ্ছে উষ্ণতা। আর সম্পর্কের মাঝে জায়গা করে নিচ্ছে তৃতীয় ব্যক্তি।