খালেদাকে এর বেশি দয়া দেখানো সম্ভব না: প্রধানমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২২

দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর বেশি আর দয়া দেখানো আমাদের পক্ষে সম্ভব না।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ তাকে বিদেশে পাঠানোর আহ্লাদের আর শেষ নেই।

এতিমের অর্থ-আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি কারাগারে ছিল। আমি এইটুকু দয়া করেছি, যে ঠিক আছে বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে মানবাধিকার নিয়ে তত্ত্বজ্ঞান দেয়। কিন্তু ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর মানবাধিকার কোথায় ছিলো।

নারী শিশুসহ জাতির পিতার পরিবার ১৮ জন সদস্যকে হত্যার ঘটনাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যার পর খুনিদের পুরস্কৃত করা ও আইন করে বিচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জিয়াউর রহমান ও খুনিদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি ও সংসদ সদস্য বানিয়েছেন খালেদা জিয়া।

Nagad

দেশে গুম ও ভোটকারচুপির রাজনীতি শুরু করেছে জিয়াউর রহমান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে, তাদের বিষয়ে সচেতন হতে থাকতে হবে।

বিএনপির ক্ষমতার সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কী হয়েছিল ঢাকা শহরে, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, পানির জন্য হাহাকার। সারের জন্য মাঠে নামায় ১৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে গেলাম, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সে উৎপাদন কমিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তেল পাচার বন্ধ হওয়ায় লিটারে পাঁচ টাকা দাম কমানো হয়েছে।

আমরা কখনও ধার করে ঘি খাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যে ঋণ তাতে আমরা কখনও কারো কাছে আটকে যাব না। বাংলাদেশ সেই অবস্থায় নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এজন্য সবাইকে অপচয় রোধ ও সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ খুব সহজেই হয়তো এই যুদ্ধ থামবে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, শহীদ সেরনিয়াবাত, উত্তরের সহ-সভাপতি সাদেক খান, এম এ কাদের খান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ