ছেলের সামনেই মায়ের আত্মহত্যা, দুই বছর আগে বাবাও সড়কে নিহত

শেরপুর সংবাদদাতাশেরপুর সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২

শেরপুর পৌর শহরে ছেলের সামনে নিজঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলে নাসরিন আক্তার (৩২) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। দুই বছর আগে তার স্বামীও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।

শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌরসভার গৃদানারায়ণপুর মহল্লায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত নাসরিন আক্তার মৃত পরিবহন শ্রমিক বাবুর স্ত্রী ছিলেন। নাসরিনের শ্বশুরবাড়ি ঢাকার বিক্রমপুর এবং তার বাবার বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর শহরের গৃদানারায়ণপুরের কাজলের বাসায় দুই বছর ধরে তার দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নাসরিন আক্তার। তার বড় ছেলে নাফিজ নবারুণ(১২) পঞ্চম শ্রেণিতে এবং ছোট ছেলে নাবিল ইকরা(৮) নার্সারিতে পড়ে। ২০২০ সালে তার স্বামী বাবু ঢাকা-শেরপুর রোডে চলাচলরত শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের বাসে চাকরি করা অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর তারা এখানে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল। শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সে তার ছেলের সাথে অভিমান করে ঘরের দরজা বন্ধ করে ছেলেকে বাইরে রেখে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

বড় ছেলে নাফিজ বলেন, প্রতিদিন আমি বাইরে খেলতে গেলে মা বকাবকি করত। আজও তাই হয়েছে। পরে মা আমার সাথে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে বলতে থাকে, আমি ফাঁসি দিয়ে মরে যাব। তখন আমি দরজায় ধাক্কা দিয়ে মায়ের কাছে মাফ চাই। বলি, আর কোনোদিন বাইরে যাব না। কিন্তু দরজা না-খোলায় জানালার পাশে গিয়ে দেখি মা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগার চেষ্টা করছে। এ সময় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে স্টিলের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এর মধ্যে মা ফ্যানের সাথে ঝুলে পড়ে। পরে স্থানীয়রা শেরপুর সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: বছির আহমেদ বাদল জানায়, নিহত নাসরিনের লাশ ঘরের দরজা বন্ধ অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলছিল। পরে সদর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Nagad

সারাদিন/০৪ সেপ্টেম্বর/এমবি