আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২

বগুড়ার মহাস্থান হাট
এক কাপ চায়ের দামে এক কেজি কাঁচা মরিচ

বগুড়ার এ পাইকারি বাজারে গতকাল মাঝারি মানের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় ১০ টাকায়। অথচ ১২ কিলোমিটার দূরে শহরের ফতেহ আলী বাজারে এ দাম ৪০ টাকা।
বগুড়ার পাইকারি বাজার মহাস্থান হাটে কাঁচা মরিচের দামে হঠাৎ করে ধস নেমেছে। এ বাজারে মাঝারি মানের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ গতকাল বুধবার বিক্রি হয়েছে ১০ টাকায়। এক মাস আগেও এই দাম ছিল ২৪০ টাকা। আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় হঠাৎ করে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দামে এ ধস নেমেছে। বগুড়ার মহাস্থান হাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচসহ নানা ধরনের সবজি সরবরাহ করা হয়।চাষিরা বলছেন, খেত থেকে হাটে নেওয়া পর্যন্ত প্রতি কেজি কাঁচামরিচে গড়ে তিন টাকা খরচ হয়। এ ছাড়া রয়েছে খাজনা ও অন্যান্য খরচ, এ বাবদ খরচ হয় আরও এক টাকা। ফলে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করে চাষিরা পাচ্ছেন ছয় টাকা, যা এক কাপ চায়ের দামের সমান। বগুড়ায় এক কাপ চা বিক্রি হয় ৬ থেকে ১০ টাকায়।আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল মহাস্থান হাটে পাইকারিতে ভালো মানের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল সর্বোচ্চ ২০ টাকা। মঙ্গলবার এ বাজারে ভালো মানের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৩০ টাকা। মাঝারি মানের কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। আর এক মাস আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের গড় দাম ছিল ২৪০ টাকা।গতকাল বুধবার মহাস্থান হাটে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে আসেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আবু সুফিয়ান (৫০)। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ১০ টাকা দরে ২০ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করেন তিনি। সূত্র: প্রথম আলো

দেশের ২৪ শতাংশ মানুষ এখনও অক্ষরজ্ঞানহীন
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

সুবল চন্দ্র দাসের বয়স ৪৪ বছর। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কাঁচামালের আড়তে কাজ করেন। বর্তমানে প্রতিদিন তাঁর কাজ হচ্ছে ট্রাক থেকে আড়তে নামানো কতবেলের হিসাব রাখা। কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে কতবেল কিনলে চালানমতো সেই মালপত্র বুঝিয়ে দেওয়া। এই কাজে তাঁর কতবেল গণনা করা লাগে। সিজনভেদে কখনও বাতাবিলেবু, কলা অথবা ডাব। অথচ তিনি অক্ষরজ্ঞানহীন। মুখে মুখে ‘কুড়ি’ হিসাবে গুনে তিনি কাঁচামাল বুঝিয়ে দেন ক্রেতাদের। নিজে কোনো কিছু লিখতে বা পড়তে পারেন না। কথা বলে জানা গেল, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার রতনপুর গ্রামে সুবলের বাড়ি। ১১ ভাইবোনের মধ্যে তিনি অষ্টম। দরিদ্র কৃষক বাবার নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা ছিল। তাই সুবলের পড়াশোনার ভাগ্য হয়নি। ১৪ বছর বয়সে গ্রামের এক কাকাতো ভাইয়ের সঙ্গে কাজের সন্ধানে কারওয়ান বাজারে চলে আসেন। সেই থেকে এখানে আছেন। এত দিনে তাঁর নিজেরও সংসার হয়েছে। পাঁচ সন্তানের সবাইকে পড়াশোনা করানোর জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। তাঁর বড় মেয়ে বর্তমানে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। সূত্র: সমকাল

আগুন নিয়ে খেলা! আগুন নিয়ে নাচা!

খোলা আকাশের নিচে কৌতূহল ও বিস্ময়ে ভরা কয়েকশ’ জোড়া চোখ; কিছুক্ষণ না যেতেই মুহুর্মুহু উল্লাসে ফেটে পড়ছে চারপাশ, সবার মনোযোগ সামনের দিকে নিবদ্ধ! একটু এগোতেই চোখে পড়ে একটা স্টেজ, তিউনিসিয়ীয় মিউজিকের তালে তালে যেখানে দেখানো হচ্ছে ‘আগুন নাচ’! কখনও একজন, কখনওবা যৌথভাবে আগুনের গোলা নিয়ে হাত ঘোরাচ্ছেন; আবার কখনও মুখ দিয়ে ছুঁড়ে দিচ্ছে আগুনের হল্কা! বেশ কয়েকটি লোহার শিক একসঙ্গে নিয়ে আগুনের মশালের মতো তৈরি করে, তার সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনা বা ‘ফায়ার ড্যান্সের’ প্রচলন বাংলাদেশে খুব একটা নেই বললেই চলে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনের লেলিহান শিখা, তার সঙ্গে মিউজিকের তালে তালে এ ধরনের নাচের মাধ্যমে এরমধ্যেই সবার মন জয় করে নিয়েছে `ফায়ার ড্যান্স বিডি ম্যাক্স’ নামে একটি দল। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

Nagad

৩৩ দফার যৌথ বিবৃতি
বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিল ভারত
♦ বিনা শুল্কে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য যেতে পারবে তৃতীয় দেশে ♦ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ ♦ সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামাতে ঐকমত্য ♦ তিস্তায় বাংলাদেশের তাগিদ, ভারতের আগ্রহ ফেনী নদীতে ♦ চলতি বছরই সমন্বিত অর্থনৈতিক চুক্তির আলোচনা

তৃতীয় যে-কোনো দেশে পণ্য পরিবহনে নিজ ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিল ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে একযোগে প্রকাশিত এ যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের সব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ৩৩ দফার এ যৌথ বিবৃতি অনুসারে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে একমত হয়েছে, তিস্তা চুক্তির জন্য আবারও অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্তু ভারত আগ্রহ দেখিয়েছে ফেনী নদীর বিষয়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চেয়েছে বাংলাদেশ এবং চলতি বছরই বাংলাদেশ ও ভারত সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সেপা) সইয়ের জন্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। চার দিনের ভারত সফরে সোমবার দিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত
নিবন্ধিত দলগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখবে ইসি
রোডম্যাপের ঘোষণা আগামী সপ্তাহে * ইভিএমের পক্ষে মত ১২টি রাজনৈতিক দলের, বিপক্ষে ৬টি * নতুন দলের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে আগামী জুনে * আইন সংস্কার কাজ শেষ করা হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে

নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল তাদের শর্তাবলি প্রতিপালন করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন শর্তাদি প্রতিপালন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ওই তথ্য পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগামী জুনের মধ্যে শেষ করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘রোডম্যাপে’ রাজনৈতিক দল প্রসঙ্গে এমন কর্মসূচি রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার ওই রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের শেষ বা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে।রোডম্যাপে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে কমিশনের ভূমিকা একক নয়। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও সমর্থক, ভোটার, মিডিয়া, নাগরিক সমাজ এবং পর্যবেক্ষকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চ্যালেঞ্জগুলোও উল্লেখ করা হয়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা সৃষ্টি, প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন, অর্থ ও পেশিশক্তির নিয়ন্ত্রণ, সব দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি অনুসরণ, নিয়মতান্ত্রিক প্রচারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, পুলিশ ও প্রশাসন কর্তৃক বাধার সম্মুখীন না হওয়া এবং ভোটকেন্দ্রে প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটারদের অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করা। সূত্র: যুগান্তর।

যৌথ বিবৃতি
ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত
► সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনতে কাজ করবে দুই দেশ
► বাংলাদেশ চায় তিস্তা চুক্তি, ভারত চায় ফেনী চুক্তি
► সেপা নিয়ে আলোচনা এ বছরের মধ্যে শুরুর নির্দেশনা

তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়েছে ভারত। এ জন্য ভারত কোনো মাসুল নেবে না। তবে এ জন্য নির্দিষ্ট বন্দর বা স্থল কাস্টম ব্যবহার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।গতকাল বুধবার প্রকাশিত দুই দেশের ৩৩ দফা যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি স্থান পেয়েছে।যৌথ বিবৃতিতে সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে উভয় পক্ষের কাজ করার অঙ্গীকার রয়েছে। শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশ দ্রুত তিস্তা সই করতে ভারতকে তাগিদ দিয়েছে। ভারত তাগিদ দিয়েছে ফেনী নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের জন্য। সূত্র: কালের কণ্ঠ

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় আক্রান্ত বাংলালিংকের উদ্যোক্তারা

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ভিওন লিমিটেডের শতভাগ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড। ভিওন লিমিটেড ও এর মালিকানায় থাকা প্রতিষ্ঠান লেটারওয়ানের রাশিয়ান অলিগার্ক উদ্যোক্তা ও তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ নিষেধাজ্ঞার জেরে এরই মধ্যে ভিওন ও লেটারওয়ানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই অলিগার্ক পদত্যাগ করেছেন। নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে উত্কণ্ঠায় রয়েছেন ভিওনের ঋণদাতা, অংশীদার ও শেয়ারহোল্ডাররাও।বারমুডায় নিবন্ধিত ভিওন লিমিটেড বর্তমানে রাশিয়া, ইউক্রেন, পাকিস্তান, কাজাখস্তান আলজেরিয়া, উজবেকিস্তান, বাংলাদেশ, কিরগিজস্তান ও জর্জিয়ায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা ২২ কোটিরও বেশি। ভিওনের প্রধান কার্যালয় নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে। কোম্পানিটি বর্তমানে আমস্টারডাম, নাসডাক, মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। কোম্পানির ৪৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে লুক্সেমবার্গে নিবন্ধিত লেটারওয়ান টি ভিআইপি হোল্ডিংস এসএআরএলের কাছে। লেটারওয়ানের সহপ্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রয়েছেন রুশ অলিগার্ক মিখাইল ফ্রিডম্যান, পিটার অ্যাভেন, জার্মান কেহান, অ্যালেক্সি কুজমিশেভ ও আন্দ্রেই কসোগভ। এর মধ্যে লেটারওয়ানের ৩৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার মিখাইল ফ্রিডম্যানের কাছে এবং ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে পিটার অ্যাভেনের কাছে। ফ্রিডম্যান ও অ্যাভেন দুজনই রাশিয়ান অলিগার্ক। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের জেরে ফ্রিডম্যান, অ্যাভেন, কেহান ও কুজমিশেভের ওপর ব্যক্তি পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইইউ। ফ্রিডম্যান ও অ্যাভেনের ওপর যুক্তরাজ্যেরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদিও দেশটিতে এ দুই রুশ অলিগার্কের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে। ফ্রিডম্যান ও অ্যাভেনের মালিকানায় থাকা রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংক আলফা ব্যাংকের ওপরও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে লেটারওয়ানে এ চার অলিগার্কের শেয়ার জব্দ হতে যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে লেটারওয়ান ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা কোম্পানি থেকে লভ্যাংশ কিংবা অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা পাবে না। পাশাপাশি ফ্রিডম্যান ভিওন ও লেটারওয়ানের পর্ষদ থেকে এবং অ্যাভেন লেটারওয়ানের পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সূত্র: বণিক বার্তা।

বিনিয়োগ: বাংলাদেশে কোন কোন খাতে পুঁজি রয়েছে ভারতের?

ভারত সফরে গিয়ে সেদেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদেশের একজন শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তার সঙ্গে আলাদা বৈঠকও করেছেন। ভারতের সঙ্গে প্রতি বছর বাংলাদেশের ১০০০ কোটি ডলারের বেশি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে প্রতিবেশী দেশ হলেও বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ এখনো বেশ কম।
ভারতের বিনিয়োগ আসলে কতটা?প্রতিবেশী দেশ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার পরেও গত ৫০ বছরে ভারত বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে মাত্র ৬৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিশাল ভূমিকা থাকলেও পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারতীয় বিনিয়োগ আসেনি।
দেশটিতে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন খাতে ভারতের বিনিয়োগ আসতে শুরু করে।কিন্তু গত ২৬ বছর ভারত থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ হয়েছে ৬৫২.৩৮ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় সাড়ে ৬৫ কোটি ডলার।গত আর্থিক বছরে নতুন করে বিনিয়োগ এসেছে মাত্র দেড় কোটি ডলার। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

দূষণমুক্ত শহর গড়তে নারায়ণগঞ্জকে ‘মডেল’ ধরে পরিকল্পনা

পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে নারায়ণগঞ্জকে ‘মডেল’ ধরে আগামী বছর থেকে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২০৪০ সাল পর্যন্ত এ কার্যক্রমে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সফল হলে ঢাকার আশেপাশের অন্যান্য জেলাতেও তা বাস্তবায়ন করা হবে। সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর এই খসড়া কর্মপরিকল্পনাটি প্রণয়ণ করেছে।এর আগে সংসদীয় কমিটির একটি বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় নাগরিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।পরিবেশ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খসড়া কর্মপরিকল্পনাটি আরও যাচাই-বাছাই করার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিয় করে চূড়ান্ত করা হবে।পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পারিচালক মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা একটা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে দিয়েছি। সংসদীয় কমিটি সেটা দেখেছে।” সূত্র: বিডি নিউজ

কেরানীগঞ্জে চুলার আগুনে দগ্ধ কেউই বেঁচে রইলো না

কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গত ৩০ আগস্ট ভোররাতে গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে লাগা আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধদের মধ্যে একে একে পাঁচজনই মারা যান। বেঁচে ছিল শুধুই মো. ইয়াছিন (১২) নামে এক কিশোর। সেও আজ সকালে মারা গেছেন। ফলে এ দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে কেউই বেঁচে রইলেন না। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন জানান, দগ্ধদের মধ্যে সর্বশেষ মারা গেলো ইয়াছিন। আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে মৃত অন্য পাঁচজন হলেন- মরিয়ম (৮), শাহাদাত হোসেন (২৫), বেগম (৬০), ইদুনী বেগম (৫০), সোনিয়া আক্তার (২৬)।মৃত ইয়াছিনের বাবার নাম আব্দুর রশিদ। তিনি পেশায় রিকশাচালক। ইয়াছিনের আরেক ভাই রয়েছে। আর্থিক অনটনের সংসারে সন্তান দগ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসা খরচ টানতে হিমশিম অবস্থা রশিদের। তবে শতচেষ্টায়ও সন্তানকে বাঁচাতে পারলেন না রিকশাচালক আব্দুর রশিদ। সূত্র: জাগো নিউজ