ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডাকদ্রব্য বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করলেন মন্ত্রী
ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের অভিযাত্রায় প্রেরক এবং গ্রাহকগণ ডাকদ্রব্যের সর্বশেষ অবস্থান বা বিতরণের তথ্য ট্র্যাক করেই জানতে পারছেন। ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের অভিযাত্রার ধারাবাহিকতায় পয়েন্টস অব সেলস মেশিনের মাধ্যমে ডাকদ্রব্যে সংযুক্ত বারকোড স্ক্যান করে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুটসহ প্রেরক প্রাপকের ঠিকানার ছবি সংযুক্ত করে বুকিং সম্পন্ন করার ফলে গ্রাহকগণ সহজেই বারকোড স্ক্যান করে তাদের ডাকদ্রব্যের অবস্থান শনাক্ত করতে পারছেন। এছাড়াও গ্রাহকদের সুবিধার্থে ঢাকা জিপিওসহ গুরুত্বপূর্ণ ডাকঘরসমূহে ডিজিটাল সিরিয়াল সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জিপিও আকস্মিক পরিদর্শন কালে গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন এবং গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। এ সময় গ্রাহকগণ তাদের সন্তুষ্টির কথা ব্যক্ত করেন। পরিদর্শন কালে মন্ত্রী জিপিও‘র বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন। ডাক বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন উর রশিদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডাকঘর ডিজিটাইজেশন বিষয়ে গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, ডাকের দিন শেষ হয়নি, বরং আরও বাড়ছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথ নকশা আমরা তৈরি করছি। খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন শুরু হবে। ইতোমধ্যে ১৪টি শর্টিং সেন্টার নির্মাণ ও ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। একই সাথে রেলে চিলিং বগি ও ডাকের অন্যান্য গাড়িতে চিলিং ভ্যান চালু করার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের ডিজিটাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে ।
ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নীত হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল বাণিজ্যের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘর ডিজিটাল করা অপরিহার্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে সেটা পেরেছি।
দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে বা তাদের পণ্য আনতে ডাকঘরের বিকল্প নেই। করোনাকালে কৃষকের ফল, সবজী পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ডাক সেবার অবদান তুলে ধরেন মন্ত্রী। মন্ত্রী গ্রাহক সেবা ও জিপিও‘র পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের তদারকি আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন। পরে মন্ত্রী ঢাকা জিপিওতে স্থাপিত প্রশাসনিক শাখা, বঙ্গবন্ধু কর্নার এবং ফিলাটেলিক ব্যুরো পরিদর্শন করেন। তিনি জিপিওর ভবন ও আসবাবপত্রের মেরামত করার জন্যও নির্দেশনা প্রদান করেন।