শিক্ষকদের জন্য ল্যাপটপ কেনা সহজ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিএসএইচই) সহযোগিতায় ডিজিটাল পার্সোনাল লোন চালুর মাধ্যমে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের জন্য ল্যাপটপ কেনা সহজ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ডিএসএইচই অফিসে এ বিষয়ক এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শিক্ষকদের জন্য এ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাধীন ফিনটেক সলিউশনস লিমিটেড-এর ‘স্বাধীন’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষকরা ডিজিটাল উপায়ে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এন্ড-টু-এন্ড প্রক্রিয়ায়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আবেদনটি মূল্যায়ন করা হবে এবং ঋণ বিতরণ করা হবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে, শিক্ষকরা কোনো ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই ৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ঋণটি ৬/৯/১২/১৫ মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া, বিশেষ ছাড়ে ল্যাপটপ সরবরাহ করবে ওয়ালটন ডিজি-টেক।
সহজ অর্থায়নের মাধ্যমে, শিক্ষকরা এখন শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। এই উদ্যোগটি ব্যাংকিং খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও উদ্ভাবনী সেবার একটি অনন্য উদাহরণ। এই উদ্যোগটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অবদান রাখবে।
প্রথম পর্যায়ে, সাভার ও গাজীপুর এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এই ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং ব্র্যাক ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসএইচই-এর পরিচালকবৃন্দ, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, স্বাধীন ফিনটেক সলিউশনস লিমিটেড-এর চেয়ারপারসন মোহাম্মদ শাদমান, ব্র্যাক ব্যাংক-এর হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মোঃ মাহীয়ুল ইসলাম, হেড অব রিটেইল লেন্ডিং মোঃ মনিরুল ইসলাম রনি, হেড অব ডিজিটাল লোন আন্ডাররাইটিং এস এম ইশতিয়াক ও হেড অব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমস মুনতাসির রহমান।
শিক্ষকদের জন্য ল্যাপটপ অর্থায়ন সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “আমরা মনে করি, এই উদ্যোগটি আমাদের মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংকিং নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কারণ, এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সর্বোপরি সমাজ উপকৃত হবে। আন্ত:সংযোগের এই যুগে, শিক্ষকদের ইন্টার্যাক্টিভ ক্লাসের জন্য ভিডিও টিউটোরিয়াল ও লেকচারের মতো ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়। এই লোনের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, শিক্ষকদের সুবিধার জন্য লোনের প্রক্রিয়াকরণ এবং লোন প্রদানসহ পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে ডিজিটালি। এই উদ্যোগটি চালু করার ক্ষেত্রে, সহায়তা এবং দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমরা লোনটির বিস্তৃতি আরও বাড়িয়ে সারা দেশে এ সহজ ঋণ সুবিধা ছড়িয়ে দিতে চাই।”