বিজিএমইএ’র উদ্যোগ: ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ শুরু ১২ নভেম্বর থেকে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২

সংগৃহীত ছবি-

দেশের তৈরি পোশাক খাতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে আগামী ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে- মেইড ইন বাংলাদেশ উইক।
মোট নয়টি সেশনে অনুষ্ঠেয় এ আয়োজনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিমসহ অন্যান্য নেতা ও পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) উদ্যোগে আয়োজিত এ উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই)।

সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হাসান বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিস) ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ শুরু হবে। উইকের দ্বিতীয় দিন ১৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উইকের পর্দা নামবে আগামী ১৮ নভেম্বর।

তিনি বলেন, এছাড়া আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি হল-১ এ দুদিনব্যাপী ঢাকা অ্যাপারেল সামিট অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা অ্যাপারেল সামিটের ৩য় সংস্করণটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব অংশীজন একই ছাদের নীচে নিয়ে আসবেন, যেখানে তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, মেড ইন বাংলাদেশ উইকে সরকার, বেসরকারিখাত, দাতা সংস্থা, ব্র্যান্ড, শ্রমিক সংগঠনসহ সবার সম্মিলিত প্রয়াসে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ৯টি সেশনের আয়োজন করা হবে। এসব সেশনে আলোচনার বিষয়বস্তুর ওপর প্রবন্ধ, ভার্চুয়াল উপস্থাপন, শিল্পের অগ্রগতি এবং আগামী দিনে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে।

Nagad

সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসায়িক ফোরাম অনুষ্ঠানের বিষয়ে ফারুক হাসান বলেন, ফোরামে বিনিয়োগ ও দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা উভয়পক্ষ একমত হয়েছি যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমরা বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরকে এদেশে বিশেষ করে নন-কটনখাতে বিনিয়োগ ও নন-কটনের জন্য কাঁচামাল আমদানিতে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ করেছি। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আইটি খাত এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।