আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২

জেলা পরিষদে মনোনয়ন
এবারও ‘বয়স্ক’ নেতাদের পুনর্বাসন
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিদের ২৫ জনের বয়স ৭০ বছরের বেশি। স্থানীয়ভাবে তাঁরা ‘বঞ্চিত’ নেতা হিসেবে পরিচিত।

দেশের ৬০টি জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিদের গড় বয়স ৬৮ বছরের বেশি। এর মধ্যে ৮০ বছরের বেশি বয়সী রয়েছেন ৫ জন। সত্তরোর্ধ্ব রয়েছেন ২০ জন। স্থানীয়ভাবে তাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ‘বঞ্চিত’ নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁদের অধিকাংশই বিভিন্ন সময় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি।
গত শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় ৬০টি জেলা পরিষদে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সাতক্ষীরার প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়নি। প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও স্থানীয় রাজনীতিকদের সঙ্গে কথা বলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বয়স এবং দলে তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানা গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদ (রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) বাদে বাকি ৬১ জেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। জেলা পরিষদে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেন না। উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এখানে ভোটার। সূত্র: প্রথম আলো

রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্ব পাচ্ছে সুশাসন ও মানবাধিকার

রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মৌলিক মানবাধিকার, সুশাসন ও শ্রম অধিকার ইস্যু আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বাণিজ্য অগ্রাধিকার বিশেষত শুল্কমুক্ত রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে এসব বিষয় বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসছে। প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতিতে আমদানির উৎস দেশে এ বিষয়গুলো পরিপালনের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এসব দেশের ভোক্তাদের বিভিন্ন সংগঠন এবং ঢাকায় দায়িত্বরত কূটনীতিকরা প্রায়ই মানবাধিকার ও সুশাসন নিয়ে কথা বলছেন। ব্র্র্যান্ড এবং ক্রেতারাও এ বিষয়ে সরব। এদিকে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) শ্রেণি থেকে উন্নয়নশীল স্তরে উত্তরণের পর্যায়ে রয়েছে। পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগী বিভিন্ন দেশ প্রধান বাজারকেন্দ্রিক দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করছে। ভিয়েতনাম ইইউর সঙ্গে এফটিএ করেছে, যার মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পূর্ণ শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা পাবে দেশটি। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভারতের এফটিএ চূড়ান্ত পর্যায়ে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস রপ্তানি খাত এখানেও একটি চ্যালেঞ্জের মুখে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান সমকালকে বলেন, সুশাসন, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতাসহ বিভিন্ন প্রশ্নে জিএসপি সুবিধা স্থগিত বা বাতিল হতে পারে। সূত্র: সমকাল

জেলা পরিষদ নির্বাচন
আ.লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরাও মাঠে
ইসি অফিস থেকে মনোনয়নপত্র কিনে নেতাকর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সভা-আলোচনায় ব্যস্ত অনেকে * দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা-কাজী জাফর উল্লাহ

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকছেই। বিশেষ করে গতবারের বিদ্রোহী প্রার্থীরা অনেকেই এবারও নির্বাচনি মাঠে থেকে যাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে মনোনয়নপত্রও কিনেছেন কেউ কেউ। প্রকাশ্যে কোনো ঘোষণা না দিলেও অনেকেই মাঠে থেকে ভোটের হিসাব মেলাচ্ছেন। পাশাপাশি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে সভা ও আলোচনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে বিএনপি বা অন্য দলগুলো না থাকায় নানা মাধ্যমে উন্মুক্ত নির্বাচনের দাবিও তুলছেন। মনোনয়নবঞ্চিত অনেক নেতা এখনো ঢাকায় অবস্থান করে কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের কাছে শেষ মুহূর্তের লবিং-তদবির চালাচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন-বিদ্রোহীদের বিষয়ে দলের অবস্থান আগের মতোই কঠোর। সুতরাং দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে অবশ্যই তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ রোববার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে ত্যাগী ও যোগ্যদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। গতবারের কিছু বিদ্রোহী এবারও মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু আমরা কোনো বিদ্রোহীকে মনোনয়ন দেইনি। কারণ এটা আমাদের আগেরই সিদ্ধান্ত ছিল। এবারও কেউ যদি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আগামীতেও আর কোনো দিন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬১ জেলার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৫০০ নেতা মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। ৩১ জেলার নতুন মুখ আনা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন আগে দলের সমর্থন পেয়েও পরাজিত হয়েছিলেন। এছাড়া গতবারের একজন বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব ইসির
নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিলে তিন বছর জেলের সুপারিশ
নির্বাচনের সময় দায়িত্বরত সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে তিন বছরের শাস্তির বিধান রেখে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল ও জরিমানা সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া সংসদ নির্বাচনে সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেয়ার প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।
গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। আহসান হাবিব খান বলেন, বর্তমান কমিশন কিছু কিছু আইন পরিবর্তনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। যেহেতু আপনারা আমাদের চোখ-কান। আমাদের বদলে আপনারা হাজির (ভোটকেন্দ্রে) থেকে সংবাদগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরেন। আপনাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা আইনে একটি নতুন সংযোজন করেছি। তা হচ্ছে, আপনাদের দায়িত্ব পালনে যদি কেউ বাধা দেয়, আপনাদের যদি কেউ হেনস্তা করে এবং আপনাদের ইকুইপমেন্ট ও সঙ্গী-সাথীদের ক্ষতির চেষ্টা করে, তাহলে সর্বনিম্ন এক বছর এবং সর্বোচ্চ তিন বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

শিক্ষক, ল্যাব-অবকাঠামো সংকটে নষ্ট হচ্ছে মেডিকেল শিক্ষার মান

২০১৯ সালে ক্লাস শুরু হলেও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে কোনো স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই, নেই মেডিকেল কলেজের হাসপাতালও। মেডিকেল কলেজটিতে ফরেনসিক মেডিকেল এবং ফার্মাকোলজির সাবজেক্টের জন্য মাত্র একজন করে লেকচারার আছেন; ওই সাবজেক্টে কোনো অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বা প্রফেসর নেই। রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে চুক্তিভিত্তিক তিনজন টেকনিশিয়ান সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নীলফামারী গিয়ে মেডিকেল কলেজের ল্যাব পরিচালনা করেন। নীলফামারী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “ইদের পর আমাদের ফার্মাকোলজি ক্লাস শুরু হওয়ার কথা, তখন টিচার আসবেন বলে আমরা শুনেছি।””হাসপাতালের মেডিকেল কলেজ না থাকায় আমাদের ২৫০ বেডের সদর হাসপাতাল থেকেই হয়তো ইন্টার্ন করতে হবে। সদর হাসপাতালে তো সব ধরনের চিকিৎসা হয়না, তাই আমাদের শেখার ঘাটতি থেকেই যাবে,” যোগ করেন তিনি। শুধু নীলফামারী মেডিকেল কলেজই নয়, যশোর, কক্সবাজার, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজসহ বেশ কয়েকটি সরকারি মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল নেই। অধিকাংশ মেডিকেল কলেজে মানসম্মত ল্যাব নেই। বেশিরভাগ মেডিকেল কলেজেই শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৪৯.৭ শতাংশ অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসরের পদ খালি রয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তর। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বালুর দাম বেড়ে দ্বিগুণ উন্নয়নকাজ ব্যাহত

উন্নয়নকাজে ব্যবহৃত সব ধরনের বালুর দাম গত পাঁচ মাসে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মোটা ও চিকন—এই দুই ধরনের বালু সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্প, শিল্প-কারখানা তৈরি, আবাসন প্রকল্প এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঘরবাড়ি তৈরি ও নিচু ভূমি ভরাটে ব্যবহৃত হয়।kalerkanthoপ্রকল্পসংশ্লিষ্ট লোকজন ও বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ মাস আগে প্রতি ঘনফুট মোটা বা আস্তর বালুর দাম ছিল ১০ টাকা, এখন তা ২২ টাকা। প্রতি ঘনফুট চিকন বালুর দাম ছিল চার টাকা।বালু ব্যবসায়ীদের দাবি, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন নদী থেকে বালু তোলা বন্ধ হওয়ার পর বালুর বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। এখন রাজশাহী, পাবনা, সিলেট থেকে বালু এনে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের পুরো চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে। এতে খরচ বেশি হচ্ছে। তাই দামও বাড়ছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সাজেদা চৌধুরীকে বলা হয় আ.লীগের দুর্দিনের কাণ্ডারি
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে বলা হয় দলের দুর্দিনের কাণ্ডারি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যাকাণ্ডের পর সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
’৭৫ পরবর্তী কঠিন সময়ে তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেন সাজেদা চৌধুরী। এরপর জিয়া ও এরশাদের দীর্ঘ সামরিক ও স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলের নেতৃস্থানীয় পর্যায় থেকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মায়ের নাম সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী। ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর গোলাম আকবর চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। সূত্র: বাংলানিউজ

 

ওষুধের বাড়তি দামে হিমশিম: একলাফে এতটা উল্লম্ফন কতটা যৌক্তিক?

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে কিছু দিন হল একটি বেসরকারি ব্যাংকে শিক্ষানবীশ কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি করছেন জেরিন আফরিন। বাবা-মা দু’জনেই অসুস্থ থাকায় তার পরিবারের মাসিক ওষুধের খরচ অন্তত ১২ হাজার টাকা। সবকিছুর পাশাপাশি ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাঁচ বছর আগে অবসরে যাওয়া তার পিতার পক্ষে তা বহন করা কষ্টকর। এর মধ্যে এক ধাক্কায় ওষুধের দাম অনেক বেড়ে যাওয়া তার পরিবারের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।পাড়া মহল্লার ওষুধের দোকানেও কিছুক্ষণ দাঁড়ালে বেশি লাগে এমন কিছু ওষুধের অস্বাভাবিক দাম বাড়া নিয়ে ক্রেতাদের প্রশ্নে জর্জরিত হতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। এক লাফে এতটা দর বাড়ানো নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের।ঢাকার ফার্মগেইটে গত সপ্তাহে ওষুধ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, “বাচ্চার জন্য সিরাপ কিনতে এলাম। এই নাপা সিরাপটার দাম এখন ৩৫ টাকা। সবকিছুর দাম এভাবে বাড়লে কিভাবে কি?” সূত্র: বিডি নিউজ

 

ডলার হবে ১০০ টাকার নিচে

নজরদারি ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জ ও বড় এলসিতে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়া, বিকল্প মুদ্রা চালুর ভাবনা, রুবলের প্রবেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, রাশিয়া-ইউক্রেনের গম তেল বিক্রি শুরু

 

বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়া, বিকল্প মুদ্রা চালুর ভাবনা, রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে গম ও তেল বিক্রিসহ বিভিন্ন কারণে ডলারের দাম নামতে শুরু করেছে। ডলার বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জগুলোর ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নজরদারি, বড় এলসির প্রতি দৃষ্টি রাখা, রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে আগামী কিছুদিনের মধ্যে ডলারের দাম ১০০ টাকার নিচে নেমে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ডলারের দাম মূলত নির্ভর করে বিশ্ব বাস্তবতার ওপর। বর্তমানে যুদ্ধের প্রভাব ভিন্ন মাত্রার দিকে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশেও। ব্যাংকার অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের একক দাপট কমেছে। বর্তমান ধারাবাহিকতায় শিগগিরই পরিস্থিতি বদলে যাবে। আমদানি ও রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সূত্রমতে, ডলার সংকট নিয়ে নানামুখী পদক্ষেপে দাম কমে আসছে। ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড দর হওয়ার পর এখন তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বড় বড় এলসিতে কঠোর নজরদারি আরোপ করেছে। বিলাসী পণ্য আমদানির ওপর বিধিনিষেধ দেওয়ার কারণে প্রায় ৩০ শতাংশ এলসি কমেছে। ডলারের ওপর চাপ কমাতে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের অংশ হিসেবে রাশিয়ান রুবল ব্যবহার করার জন্য প্রাথমিকভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশ্ববাজারে তেলের দর কমায় ডলার সরবরাহের ক্ষেত্রেও সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সুদীর্ঘ কর্মময় জীবন

আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। গণ অভ্যুত্থান, মুুক্তিযুদ্ধ ও ’৭৫ পরবর্তী কঠিন সময়ে তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেন। জিয়া ও এরশাদের দীর্ঘ সামরিক ও স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ফরিদপুর– ২ আসন থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৩৫ সালে। ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৬৯-’৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ভারতে গিয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২-’৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-’৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন