এমপি লিটন হত্যা: সীমান্ত থেকে পলাতক আসামি চন্দন গ্রেপ্তার

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২

সংগৃহীত

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চন্দন কুমার রায় ও সুবল রায় নজরদারিতে রেখেছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরার ভোমরার সীমান্ত এলাকা থেকে চন্দনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চন্দনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এই তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মঈন বলেন, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জে নিজ বাড়িতে সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার ঘটনায় তার বোনের করা মামলা তদন্ত করে আটজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিচারকাজ চলাকালীন আসামি সুবল রায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বরে লিটন হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কাদেরসহ অভিযুক্ত আটজনের সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সাতজনের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হন, তবে পলাতক ছিলেন চন্দন।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, “চন্দন রায় দেশত্যাগ করে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছিল চন্দনকে। অবশেষে গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর) রোববার তাকে সাতক্ষীরার ভোমরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটন ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাসভবনে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রধান আসামি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. আব্দুল কাদের গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লিটনের আগে সংসদ সদস্য ছিলেন। অন্যরা তার ঘনিষ্ট লোকজন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- আব্দুল কাদের খানের পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদী হাসান, শাহীন মিয়া, রানা ও চন্দন কুমার রায়। এদের মধ্যে চন্দন কুমার রায় পলাতক ছিলেন।

Nagad

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, কাদের খান যখন সংসদ সদস্য ছিলেন তখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরতেন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ আসন থেকে লিটন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভিত ক্ষোভ, রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার ও লিটনকে সরিয়ে ফের সংসদ সদস্য হওয়ার লোভে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খান। ২০১৬ সালে প্রথম দিকে এমপি লিটনকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে গ্রেপ্তার চন্দন কুমার রায়কে জানান তিনি। এরপর চন্দন ও আব্দুল কাদের খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর লিটনকে তার নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সারাদিন/১২ সেপ্টেম্বর/এমবি