কুড়িগ্রামে আফ্রিকান রোগে ১০ গরুর মৃত্যু, আতঙ্কে খামারিরা

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতাকুড়িগ্রাম সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ২:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২

সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে শরীরে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ১০টি গরু মারা গেছে। এছাড়া শতাধিক গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

জেলার উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কল্যাপাড়া, বজরা ইউনিয়নের খামার বজরা, দুর্গাপুর ইউনিয়নের কামাল খামার ও ধরনিবাড়া ইউনিয়নের মাঝবিল গ্রামে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দিয়েছে।

আরও জানা গেছে, গত পাঁচ দিনে দলদলিয়া গ্রামের মহিউদ্দিনের একটি, আয়শা বেগমের একটি, দেলওয়ার হোসেনের একটি, খামার বজরা গ্রামের দুলাল মিয়ার একটি, আবুল কালামের একটি এবং মাঝবিল গ্রামের দেলওয়ার মিয়ার একটিসহ মোট ১০টি গরু লাম্পি স্কিন রোগে মারা গেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, রোগটি দ্রুত ছড়ায়। আফ্রিকান রোগটি জেলার ১৩ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় দেখা দিয়েছে। এই রোগের প্রতিষেধক নাই। ফলে গোট পক্স ভ্যাকসিন দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে।

খামারি ও গৃহস্থদের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই তারা পল্লী চিকিৎসক, কবিরাজ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। কিন্তু তাদের দেওয়া ওষুধে কাজ হচ্ছে না বলে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।

গৃহস্থ মহিউদ্দিন বলেন, “এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আমার দেড় লাখ টাকা দামের একটি গাভীর সমস্ত শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। অনেক চেষ্টা করেছি বাঁচানোর। কিন্তু শেষে গরুটি জবাই করে মাটিতে পুতে রাখি।”

Nagad

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, উপজেলায় গরুর শরীরে লাম্পি স্কিন রোগটি ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: ইউনুছ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, এটি নতুন রোগ। মশা-মাছির মাধ্যমে এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়ায়। লাম্পি স্কিন রোগের কোনও প্রতিষেধক বের হয়নি। আমরা গোট পক্স ভ্যাকসিন দিয়ে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছি।

সারাদিন/১৪ সেপ্টেম্বর/এমবি