কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি, নদী গর্ভে বিলীন ১৫০ বাড়ি

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতাকুড়িগ্রাম সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২

সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির ফলে তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে নদের অববাহিকার বাসিন্দারা। ভাঙনকবলিতরা আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ও খোলা আকাশের নিচে।

গত দুই সপ্তাহে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসুল্লিপাড়া, সরকারপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, রসুলপুর ও বথুয়া তলী গ্রামের প্রায় ১৫০টি বাড়ি ও শত-শত বিঘা আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসুল্লিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফকির চান বলেন, “গতকাল আমার বাড়ি নদীর পোটোত গেইছে। আমার আর যাওয়ার মতো কোনও স্থান নাই। মানুষের জায়গায় কয়টা টিন দিয়ে ছায়লা করি কোনও রকমে আছি। কোথায় বাড়ি করব, কোথায় যাব, চিন্তায় বাঁচি না।”

স্থানীয় কলেজছাত্র আবুল কালাম আজাদ বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কি-বা করার আছে বলুন? শত পোস্ট শত নিউজ করলেও কারও নজরে আসবে না বা কেউ গুরুত্ব দেবে না।

তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রামের সবচেয়ে দরিদ্র ইউনিয়ন বেগমগঞ্জ সারাজীবন দরিদ্রই থাকবে। ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ চান বেগমগঞ্জ ইউনিয়নবাসী। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের ইউনিয়নটিতে সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নের বেশিরভাগ অংশ ব্রহ্মপুত্রের তীরে। ভাঙনে গত দুই সপ্তাহে প্রায় ১৫০টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। প্রায় ৪০০-৫০০ বিঘা জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু এক হাজার জিও ব্যাগ দিয়েছেন ব্যাপারীপাড়া গ্রামে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Nagad

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল কুমার বলেন, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে টিকসই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা করা হচ্ছে।

সারাদিন/১৪ সেপ্টেম্বর/এমবি