‘এলডিসি’র চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমদানি-রপ্তানি আরো সহজ করতে হবে’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোড ম্যাপ বাস্তবায়ন করা জরুরি এবং সেজন্য দেশের আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগ কার্যক্রম আরো সহজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিশেষ করে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি এবং ট্রানজিটের ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা প্রয়োজন। একইসাথে সীমান্ত বাণিজ্য সম্পর্কিত দপ্তরগুলো আধুনিকায়নের বিকল্প নেই। বিদ্যমান বাণিজ্য নীতি সংস্কারের প্রয়োজন হলে, সেটা করতে হবে।

বুধবার (১৪ সেপ্টম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) ৬ষ্ঠ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য পরিকল্পিত উপায়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদের ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। সেজন্য পণ্য ও সেবা উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি এর গুণগত মান বাড়ানো জরুরি।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের পর প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে আমাদের। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের তৈরি হতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এগিয়ে নিতে হলে বাণিজ্য যেমন সহজ করতে হবে, একইসাথে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) সভা বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ৫টি সভা হয়েছে। সভায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে পণ্যের গুণগতমান বৃদ্ধি,কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রক্রিয়াকরণ, বিভিন্ন বন্দরে আমদানি-রপ্তানি সহজ ও দ্রুত সম্পন্নকরণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যবস্থার সহজীকরণ, সিঙ্গেল উইনডো কার্যকর,আমদানি পণ্য দ্রুত খালাস, রপ্তানি পণ্যের দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা, সমুদ্র বন্দর, স্থল বন্দর ও আকাশ পথের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন করা, কানেকটিভিটি সহজ করা,পণ্য পরিবহনে রেল পথকে আধুনিক ও সহজ করা, রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ে করনীয় নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।

Nagad

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনলাইনে যোগদান করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।
এছাড়া বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরের ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্য ও প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।