‘আটা, ডাল ও ডিমের দাম বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নয়’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২

অতি উৎসাহিত হয়ে ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম ঠিক করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, চাল, আটা, ডাল ও ডিমের দাম বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নয়। তাই এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওকাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি, ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ডলারের পাশাপাশি ইউয়ান ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো দরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে।

দোকানদের জিনিসপত্র বিক্রির ক্ষেত্রে দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেঁধে দিতে পারে। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। বাকি সাতটি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার দায়িত্ব কৃষি মন্ত্রণালয়ের। দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা আসতে হবে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যারিফ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ভারত অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যারিফ বসাতে পারে না। আন্তর্জাতিক আদালতে না গিয়ে আমরা চাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করতে।’

রোহিঙ্গাদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যে যাবে না, তা এখন বুঝা যাচ্ছে। যদিও প্রথমে তাদের মানবিক কারণে জায়গা দেওয়া হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার মাধ্যমেই মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে।

Nagad

তিনি বলেন, মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থাকলেও তা আমাদের বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে না। গতবারের তুলনায় এবার ২০ শতাংশ বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ডলারের মূল্যের বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চাই রেডিমেড গার্মেন্টস তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক। পাশাপাশি আইসিটি ও চামড়া খাতে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ১০টি আইটেমের উৎপাদন বাড়াতে পারলে আমাদের রপ্তানি বাড়ব। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি এটি বাড়াতে। ২০২৬ সালে একশ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে চায় বাংলাদেশ বলে জানান তিনি।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে অব্যাহত ডলার সংকটের মুখে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে চীনের মুদ্রা ইউয়ানে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমোদন দিয়েছে।সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর অথরাইজড ডিলার শাখা চীনের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে ইউয়ান মুদ্রায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।

বিশ্বের পাঁচটি দেশের মুদ্রাকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ‘হাই ভ্যালু কারেন্সি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। চীনের ইউয়ান তাদের মধ্যে অন্যতম।