জমানো টাকা ফেরত পেতে অস্ত্রসহ ব্যাংকে জমাকারীরা
লেবাননে অস্ত্রসহ ব্যাংকে ঢুকে নিজের টাকা দাবি করেছেন জমাকারীরা৷ এই পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনদিন ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী বৈরুতে এমন ঘটনা ঘটেছে৷ জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে’র এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জমাকারীদের বহুদিনকার ক্ষোভের ফসল এই হামলা৷ অর্থনৈতিক মন্দার মুখে ২০১৯ সাল থেকে ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলার উত্তোলনের সীমা নির্ধারণ করে দেয়৷ এর ফলে বিপদে পড়েন অনেক গ্রাহক৷ বিশেষ করে অনেক ব্যবসায়ী এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন৷
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বৈরুতে এই অর্থ জমাকারীরা ব্যাংকগুলোতে হামলা করে জোর করে অর্থ উত্তোলন করার চেষ্টা করেন৷ পাঁচটি ব্যাংকের দু’টো রাজধানী বৈরুতে, একটি বৈরুতের উপকণ্ঠে, এবং দু’টি দেশটির উত্তরাঞ্চলে৷
আবেদ সুবরা নামের এক ব্যক্তি বৈরুতের ব্লোম ব্যাংকের ভেতর চিৎকার করে বলছিলেন, ‘‘আমার জমানো টাকা না নিয়ে আমি যাব না৷ আমি একজন ব্যবসায়ী এবং আমাকে অধীনস্থদের বেতন দিতে হবে৷ আমি আমার অধিকার ফেরত চাই৷” তিনি বলেন, ব্যাংক তাকে প্রতি মাসে ২০০ ডলার উত্তোলনের সুযোগ দিচ্ছে৷ অথচ তার জমা আছে দুই লাখ ডলার৷
তার ভাই আয়মান সুবরা বার্তা সংস্থা ডিপিএকে বলেন, “আমার ভাই একজন সৎ মানুষ৷ তিনি চোর নন৷ পরিবারের খরচ ও ব্যবসা চালানোর জন্য তার অর্থ দরকার৷”
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির শতকরা ৭৪ ভাগ মানুষ মন্দায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ লেবানিজ পাউন্ডের মূল্য ৯৫ ভাগ কমেছে৷
গত কয়েকদিন ধরে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে লেবাননে৷ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক লেবাননের অর্থনৈতিক মন্দাকে গত দেড়শ’ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছে৷
সারাদিন/১৭ সেপ্টেম্বর/এমবি