সেলিম খানের জামিন স্থগিতের শুনানি মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিবেদকনিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২

সংগৃহীত

৩৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় চাঁদপুরের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ‘বালুখেকো’ খ্যাত সেলিম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানি আগামীকাল (২০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল (রোববার) ৩৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সেলিম খানের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।

তার আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় সেলিম খানকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। একই সাথে চার সপ্তাহ পর তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

ওই দিন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনের এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে সেলিম খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো: খুরশীদ আলম খান।

Nagad

উল্লেখ্য, গত ০১ আগস্ট চাঁদপুর সদরের ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলা করে দুদক।

দুদক সচিব জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেলিম খানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্পদ বিবরণী চায় দুদক। সেলিম খান ৬৬ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব জমা দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অনুসন্ধান কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন সভায় সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত হয়।

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সেলিম খানের ইউনিয়নে মেঘনা পাড়ে একটি এলাকা নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান সেলিম খান, তার ছেলেমেয়েসহ অন্যান্য জমির মালিকরা অস্বাভাবিক মূল্যে দলিল তৈরি করেছেন। ফলে ওই জমি অধিগ্রহণে সরকারের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫৩ কোটি টাকা।

জমির অস্বাভাবিক মূল্য নিয়ে জেলা প্রশাসকের তদন্তে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করার পরিকল্পনা ধরা পড়ে যায়। পরে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বিষয়গুলো উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক। যা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

সারাদিন/১৯ সেপ্টেম্বর/এমবি