প্রতিবেশীর খুরের আঘাতের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী”

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিকুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২

কুমিল্লা নগরীর রামমালা সার্ভে ইন্সটিটিউট এর বিপরীত পাশে আদর্শ ক্রিস্টাল গার্ডেন সিটি বিল্ডিং এ ফ্ল্যাট নাম্বার 8A এর ভাড়াটিয়া জিয়াসমিন আক্তার (৪০) এর হাতে একই ভবনের 9C এর ভাড়াটিয়ার মেয়ে নাবিলা চৌধুরী (১২) জিয়াসমিনের স্বামীর সেভিং ব্যবহৃত খুর দিয়ে আঘাতের শিকার হয়।

ভিকটিমের মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার এর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা(১৩) এবং ভিকটিম নাবিলা চৌধুরী খুব ভালো বন্ধু ছিলো।

ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ আগেও প্রতিবেশী ঘাতক জিয়াসমিনদের বাসায় নাবিলা তার পালিত বিড়াল নিয়ে বান্ধবী সুমনাকে দেখাতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সুমনাকে ঘুমন্ত দেখে সে তার নিজের বাসায় চলে আসে।

কিছুক্ষণ পর ঘাতক জিয়াসমিন তার স্বামীর শেভ করার জন্য ব্যবহৃত খুর নিয়ে ভিকটিম নাবিলাদের বাসায় যায়। সে সময় নাবিলা তার মায়ের সঙ্গে শুয়ে ছিলো। নাবিলাদের বাসায় গিয়ে ঘাতক জিয়াসমিন নাবিলাকে গোপন কথা আছে তাই তার মায়ের পাশ থেকে উঠে আসতে বললে নাবিলা তাকে নিয়ে ড্রইং রুমে যায়।

এর কিছুক্ষণ পর নাবিলার গোঙানির আওয়াজ শুনে তার মা বিছানা থেকে উঠে ড্রইং রুমে গিয়ে দেখতে পায় ঘাতক জিয়াসমিন তার মেয়ের মুখ চেপে ধরে খুর দিয়ে গলায় এলোপাথাড়ি আঘাত করছে, এসময় তিনি ধাক্কা দিয়ে ঘাতক জিয়াসমিন আক্তারকে সরাতে গেলে ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার তার উপরেও হামলা করতে আসে।

তখন ভিকটিম নাবিলার মা শরীফা চৌধুরী চিৎকার চেঁচামেচি করলে ঘাতক জিয়াসমিন খুরটি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। শরীফা চৌধুরীর চিৎকার চেচামেচিতে আশেপাশের লোকজন জড় হয়ে যায় এবং নাবিলাকে উদ্ধার করে হলিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং পুলিশকে খবর দেয়।

Nagad

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান “শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। নাবিলা এখন অনেকটাই আশংকা মুক্ত ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ বলছে “”এটি একটি রহস্যজনক হত্যা-চেষ্টা আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।””

উল্লেখ্য ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার এর স্বামী বিসিক শিল্প-নগরীর “ইউএস ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের” এর স্বত্বাধিকারী।