সেলিম খানের আগাম জামিন স্থগিত, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২

সংগৃহীত

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় চাঁদপুরের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ‘বালুখেকো’ খ্যাত সেলিম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। সেই সাথে তাকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল সেশন জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।

আদালতে সেলিম খানের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো: খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে জানান, হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিন স্থগিত করে চেম্বার আদালত আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেলিম খানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এরআগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান চেয়ারম্যান সেলিম খান। জামিনের চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই আগাম জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।

উল্লেখ্য, গত ০১ আগস্ট চাঁদপুর সদরের ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলা করে দুদক।

Nagad

দুদক সচিব জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেলিম খানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্পদ বিবরণী চায় দুদক। সেলিম খান ৬৬ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব জমা দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অনুসন্ধান কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন সভায় সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত হয়।

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সেলিম খানের ইউনিয়নে মেঘনা পাড়ে একটি এলাকা নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান সেলিম খান, তার ছেলেমেয়েসহ অন্যান্য জমির মালিকরা অস্বাভাবিক মূল্যে দলিল তৈরি করেছেন। ফলে ওই জমি অধিগ্রহণে সরকারের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫৩ কোটি টাকা।

জমির অস্বাভাবিক মূল্য নিয়ে জেলা প্রশাসকের তদন্তে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করার পরিকল্পনা ধরা পড়ে যায়। পরে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বিষয়গুলো উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক। যা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

সারাদিন/২০ সেপ্টেম্বর/এমবি