আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২

চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জ হয়ে ফরিদপুরে যান মরিয়মের মা, উদ্ধারের পর থেকে ‘নির্বাক’

নিখোঁজের ২৯ দিন পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার খুলনার রহিমা বেগম পুলিশের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি ‘নির্বাক’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রহিমা বেগমকে দৌলতপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাঁকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরদিন তাঁর মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন সন্তানেরা। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে তাঁকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার করা হয়।নিখোঁজ মাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মরিয়ম মান্নান রহিমাকে উদ্ধারের বিষয়ে শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে খুলনা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। নগরের দৌলতপুর থানায় ব্রিফিংয়ে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন যে রহিমা বেগম ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে রয়েছেন। আরও খোঁজ নিয়ে তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এরপর দৌলতপুর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুর রহমান ও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই বাড়িতে পৌঁছায়। পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পায়, রহিমা বেগম ওই বাড়িতে বসে দুজন নারীর সঙ্গে গল্প করছেন। তবে বাড়ির মালিক কুদ্দুস বাড়িতে ছিলেন না। সূত্র: প্রথম আলো

রপ্তানিতে তৈরি পোশাক নির্ভরতা কমার ইঙ্গিত

রপ্তানিতে একক পণ্য নির্ভরতা কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) গত অর্থবছরের রপ্তানিচিত্র। সেখানে তৈরি পোশাকের একচেটিয়া আধিপত্য কমছে। বাড়ছে অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি।বেপজার অধীন আট ইপিজেড থেকে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাকের বাইরে বৈচিত্র্যপূর্ণ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার।এই আট ইপিজেডের মোট রপ্তানি ছিল ৮৫ হাজার কোটি টাকার। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সংশোধিত ড্যাপে নতুন সংকট

সম্প্রতি গেজেট হওয়া ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্বল্প প্রশস্ত রাস্তার পাশের জমির মালিক ও আবাসন ব্যবসায়ীরা। পাঁচ কাঠার জমিতে আগে যেখানে ১১০০-১২০০ বর্গফুটের ১৬টি ফ্ল্যাট পাওয়া যেত, এখন সেখানে পাওয়া যাবে আটটি ফ্ল্যাট। আর আয়তন হবে প্রতিটির হাজার বর্গফুটেরও অনেক কম। আগে পাওয়া যেত নয়-দশতলার নকশা। এখন পাওয়া যাবে পাঁচতলা। এতে ফ্ল্যাটের দাম যেমন অনেক বেড়ে যাবে, তেমনি জমির দামও কমে যেতে পারে। এ ছাড়া আরও অনেক সমস্যা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। শিগগির তারা বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবেন বলে জানা গেছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে নতুন করে কেউ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে করছেন না নকশার আবেদন। এ প্রসঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা সমকালকে বলেন, ড্যাপ গেজেট হওয়ার পর প্রথম দিকে মনে হয়েছিল এই ড্যাপে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ছোট ছোট রাস্তার পাশে এভাবে একের পর এক বহুতল ভবন উঠতে থাকলে এই শহরকে আর শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাবে না। সরু রাস্তা সরুই থাকবে। কোনো দিন প্রশস্ত হবে না। তবে নতুন ড্যাপে অপরিকল্পিত এলাকা যেমন পীরেরবাগ, কাফরুল ও পুরান ঢাকার মতো কিছু এলাকার জমির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও শহরকে বাসযোগ্য রাখতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। দীর্ঘমেয়াদে এর সুফল পাওয়া যাবে। সূত্র: সমকাল

Nagad

বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য পরিসংখ্যানে ৫৬৮ কোটি ডলারের গরমিল

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার দেশ চীন। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমদানি-রফতানি মিলিয়ে মোট বাণিজ্যের প্রায় ১৪ শতাংশই হয় চীনের সঙ্গে। যদিও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে প্রকাশিত দুই দেশের সরকারি পরিসংখ্যানে এখন বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসের বাণিজ্য পরিসংখ্যানেও দুই দেশের তথ্যে গরমিল দেখা গিয়েছে ৫৬৮ কোটি ডলারের বেশি।এ পার্থক্যের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন হচ্ছে এলসি মূল্যের ওপর। শুল্ক ফাঁকির উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন আন্ডার ইনভয়েসিং বা আমদানি মূল্য কম দেখানোর কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিংয়ের (আমদানি মূল্য প্রকৃতের চেয়ে বেশি দেখানোর কৌশল) মাধ্যমে চীন হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে অর্থ পাচারের ঘটনাও ঘটছে। মূলত এ দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দেখানোর প্রবণতার কারণেই দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যানে বড় ধরনের ব্যবধান দেখা যাচ্ছে।ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন, দেশে চীন থেকে পণ্য আমদানির জন্য খোলা এলসির মোট পরিমাণ কাস্টমসের পরিসংখ্যানে উল্লেখিত অংকের চেয়ে বেশ খানিকটা বেশি। সে হিসেবে ভবিষ্যতেও চীন থেকে পণ্য আমদানি-সংক্রান্ত তথ্যে গরমিল অব্যাহত থাকার বড় সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য থেকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সংকলন করা পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৬২ কোটি টাকার বেশি। সূত্র: বণিক বার্তা।

জাপানে পোশাক রপ্তানি ২০০ কোটি ডলার হওয়ার পথে, এখন টার্গেট আরও বড়

রপ্তানি বৃদ্ধির সুবাদে উচ্চ মানের পণ্য দিয়ে জাপানের ২৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক বাজারের আরও বড় অংশ দখল করতে চান বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, করোনা মহামারির অভিঘাতে টানা দুই বছর গতি হারানোর পর, ২০২১-২২ অর্থবছরে ফের জাপানে পোশাক রপ্তানি ১০০ কোটি ডলারের ঘর পৌঁছেছে।বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, স্পোর্টসওয়্যার, ডেনিম ও অন্তর্বাস চালানের সুবাদে, চলতি অর্থবছরে জাপানে রপ্তানি ২০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃহৎ জাপানি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে তারা সন্তোষজনক সংখ্যায় কার্যাদেশ পাচ্ছেন। অনেক ব্র্যান্ড ও বায়ার– বাংলাদেশের কৃত্রিম তন্তু (ম্যানমেইড ফাইবার) উৎপাদন শিল্পেও বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে।বর্তমানে উন্নত দেশগুলো চীন নির্ভরশীলতা কাটাতে ‘চায়না-প্লাস-ওয়ান’ কৌশল অবলম্বন বাড়ছে। এর মাধ্যমে শুধু চীনে বিনিয়োগ না করে– এখাতের কোম্পানিগুলো অন্য দেশেও বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের পণ্য সংগ্রহের উৎসে বৈচিত্র্য আনছে বলে জানান তারা। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকা চাই
♦ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংঘাত নিরসন করতে হবে ♦ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত বন্ধে পদক্ষেপ নিন ♦ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরী পন্থা মঙ্গল আনে না ♦ বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচ অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম ♦ ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান ভিত্তিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, দেশটির চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সশস্ত্র সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। তাদের প্রত্যাবাসনের অনিশ্চয়তা সর্বস্তরে ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি করেছে। মানব পাচার, মাদক চোরাচালানসহ আন্তসীমান্ত অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি এ পরিস্থিতি উগ্রবাদকেও ইন্ধন দিতে পারে। এ সংকট প্রলম্বিত হতে থাকলে তা এ উপমহাদেশসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার মধ্যরাতে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বরাবরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে বাংলায় ভাষণ দেন। এটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁর ১৯তম ভাষণ। জাতিসংঘে এ বছরের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য : ‘একটি সংকটপূর্ণ সন্ধিক্ষণ : আন্তসংযুক্ত প্রতিকূলতাসমূহের রূপান্তরমূলক সমাধান’। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বশান্তির জন্য ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরীপন্থা কখনো কোনো জাতির মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

মানি লন্ডারিংয়ে ১১ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান
পাচার ৭৬২ কোটি টাকা

বিশাল ছাড়ে পণ্য দেওয়ার কথা বলে লোভনীয় ফাঁদে ফেলে মানুষের পকেট থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে গেছে বেশকিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এই অর্থের একটি অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে তারা। পুলিশের অপরাধ তদন্ত (সিআইডি) বিভাগ এমন ১১টি প্রতিষ্ঠানের ৭৬২ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৩৭০ টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে। অন্য দুটির চার্জশিট দেওয়া হবে যে কোনো সময়ে। বাকি নয়টি প্রতিষ্ঠানের তদন্তও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ৩০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ১১টির বিষয়ে অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। সেগুলোর বিরুদ্ধেই পরবর্তী সময়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানসহ প্রতারণায় জড়িত ই-কমার্সগুলোর প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়েতে বিভিন্ন ই-কমার্সের ৫৬১ কোটি টাকা আটকে দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের এ অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে প্রতারণার মোট অর্থের হিসাব মেলানো কঠিন হচ্ছে। কারণ কিছু অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাব্যক্তিরা লুটপাট করেছে। বিদেশে পালিয়ে গিয়ে সেই টাকায় আলিশান জীবনযাপন করছে তাদের অনেকে। টাকার বড় অংশ পাচার হয়েছে নন-ব্যাংকিং চ্যানেল হুন্ডির মাধ্যমে। ফলে বিদেশ থেকে সেই টাকা ফেরত আনাও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। টাকা ফেরত না এলে গ্রাহকদের পুরো অর্থ পরিশোধ করাও সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় ই-কমার্সের সংকট সহসাই নিরসন করা কঠিন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: যুগান্তর।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: বাংলাদেশে খেলা দেখানো নিয়ে অনিশ্চয়তা

আসন্ন অক্টোবরের ১৬ তারিখে অস্ট্রেলিয়ায় যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু হবে, তার খেলা বাংলাদেশের টেলিভিশনে দেখানো যাবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ক্রিকেট বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়, কিন্তু এখনো বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ সম্প্রচারের সত্ত্ব পায়নি। যে কারণে বাংলাদেশের দর্শকেরা সরাসরি খেলা দেখতে পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।কেন এই অনিশ্চয়তা তৈরি হলো?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এসিসির আয়োজিত ক্রিকেট ম্যাচগুলো সম্প্রচার করে স্টার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্টার ডিজনি।বাংলাদেশে স্টার ডিজনি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্পোরডিয়াম। বাংলাদেশের জন্য বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সম্প্রচার সত্ত্ব কিনে থাকে যেসব প্রতিষ্ঠান, এটি তার অন্যতম। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

মসজিদে জমি দেয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করল ছেলেরা

পারিবারিক কলহ ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আরশেদ আলী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারই দুই ছেলে। রোববার সকাল ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চর উকিয়ারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।নিহত আরশেদ আলী ওই গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছোট ছেলেসহ চারজনকে আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে বড় ছেলে পলাতক রয়েছে। সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন

 

কুশিয়ারার পানি বণ্টনে কতটা লাভ হল?

পারিবারিক জমিতে কৃষিকাজের দেখভাল করেন সিলেটের জকিগঞ্জের বারঠাকুরী ইউনিয়নের অমিত হাসান রাহিন; প্রায় ৩৫ বিঘা জমিতে এখন কেবল এক মৌসুমে আমন চাষ করেন তারা। শুষ্ক মৌসুমে বোরো ধান উৎপাদন তো দূরে থাক, পানির অভাবে শীতকালীন অন্যান্য ফসলও আবাদ করতে পারেন না রাহিনরা।ওই এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে আগে যেটুকু ফসল উৎপাদন হত, তাও বন্ধ হয়ে যায় ২০১১ সাল থেকে; কারণ কুশিয়ারা নদী থেকে পানি নিতে পাম্প নির্মাণ প্রকল্পের জন্য রহিমপুর খালের মুখে দেওয়া হয়েছিল বাঁধ। জকিগঞ্জের শরিফগঞ্জে ওই পাম্প নির্মাণ কাজ শেষ হলেও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধায় বাঁধ অপসারণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।