আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২

অফিস সময় এক ঘণ্টা বাড়ছে!

কৃচ্ছতা সাধনের লক্ষ্যে এক ঘণ্টা এগিয়ে সরকারি অফিসসূচি চালুর পর তা এক ঘণ্টা বাড়ানো হতে পারে। ফলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিস করতে হবে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বৈশ্বিক সংকটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের গত ২৪ আগস্ট থেকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় শীতকালকে সামনে রেখে আগামী মাস থেকেই অফিসের সময়সূচি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত করা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। এরপর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সূত্র: বাংলানিউজ

নির্বাচন পর্যন্ত কর্মসূচি টেনে নেবে বিএনপি
আগামী ৮ অক্টোবর শুরু হবে বিভাগীয় সমাবেশ। সবশেষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ।

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচিতে আর বিরতি দেবে না বিএনপি। রাজধানীর ১৬টি স্থানে ঘোষিত কর্মসূচি এখনো শেষ হয়নি। গতকাল বুধবার নতুন করে বিভাগীয় গণসমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। তিন মাসব্যাপী এ কর্মসূচি শেষ হবে ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি ‘রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের’ রূপরেখা ঘোষণা করে বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচিও আসছে। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এ লক্ষ্যে আগামী অক্টোবর মাসের শুরুতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শুরু করবে বিএনপি। সেটা অক্টোবরেই শেষ করবে। এরপর নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে সমন্বিত আন্দোলনের লক্ষ্য, ধরন ও কৌশল ঠিক করে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে। সেটা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত টেনে নেওয়া হবে। সূত্র: প্রথম আলো

আধিপত্যে রক্তাক্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প
♦ সক্রিয় বিভিন্ন গ্রুপ ♦ হাতে হাতে অস্ত্র ♦ প্রতিদিনই সংঘর্ষ ♦ দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা ক্যাম্প হয়ে উঠেছে সংঘাতময়। আধিপত্য বিস্তারের জেরে কক্সবাজারের ৩২টি ক্যাম্পে একে অপরের ওপর হামলা করছে বিদ্যমান সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠনগুলো। রোহিঙ্গারা ভ্রাতৃঘাতী হওয়ায় প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক সৈয়দ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘কিছু গ্রুপ অনৈতিক সুবিধা পেতে ক্যাম্পে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করছে। যারা এ ধরনের কাজ করছে তাদেরও তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের আইনের আওতায় আনার। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় সমতল ভূমির মতো অভিযান চালানো যায় না।’ তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এপিবিএনসহ অন্য সংস্থাগুলো কাজ করছে। বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্বাভাবিক।’ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একাধিক বাসিন্দা জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কথা বলে অনেক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে ক্যাম্পে। তারা প্রত্যাবাসনের কথা বলে রোহিঙ্গাদের দলে টানলেও নেপথ্যে রয়েছে চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসার জন্য দল ভারী করা। ক্যাম্পের অবস্থান ধরে রাখতে নিজেরাই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

রিজার্ভ নিয়ে উভয় সংকটে বাংলাদেশ ব্যাংক

ডলারের সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। এ সময়ে আমদানি দায় পরিশোধে সহায়তার জন্য প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিক্রির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুই বছরের বেশি সময় পর ৩৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। শুধু চলতি বছরের এ কয়েক মাসে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার কমে গতকাল রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৬ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ কমলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার বিক্রি করছে। কারণ, বিক্রি না করলে ডলারের দর আরও বাড়বে। এতে মূল্যস্ম্ফীতির চাপ অনেক বেড়ে যাবে। আবার রিজার্ভ এভাবে কমতে থাকলে আপৎকালীন সুরক্ষার জায়গা দুর্বল হবে। এমন বাস্তবতায় উভয় সংকটে পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।অনেক দিন ধরে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান কৃত্রিমভাবে ধরে রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চাহিদা যাই হোক, কোন ক্ষেত্রে কেমন দরে ডলার বেচাকেনা হবে- তার ওপর বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা অনেক বেড়েছে। ফলে কৃত্রিমভাবে দর ধরে রাখার কোনো চেষ্টা আর কাজে আসছে না। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার পরও অল্প সময়ের ব্যবধানে দর অনেক বেড়েছে। চলতি বছরের শুরুতে আমদানির জন্য প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৬ টাকা। গত আগস্টে তা ১১২ টাকায় ওঠে। রপ্তানিকারকদের ১০৮ টাকা ও রেমিট্যান্সের বিপরীতে ১১৪ টাকা পর্যন্ত দর উঠে যায়। এখন অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় প্রতি ক্ষেত্রে ডলারের সর্বোচ্চ দর নির্ধারণ করেছে ব্যাংকগুলো। সূত্র: সমকাল

সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি
সামনে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ

বৈশ্বিক চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতিকে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আগামীতে এই চ্যালেঞ্জের মাত্রা আরও বাড়বে। বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় সব দেশকেই এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আগামীতেও করতে হবে। দেশে মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রা তথা টাকা অবমূল্যায়নে চাপ আরও বাড়বে। এর প্রভাবে বাড়বে মূল্যস্ফীতির চাপও। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সরকারের খরচের মাত্রা বেড়ে যাবে। এর ফলে অর্থনীতিতে সরকারের খরচের ধাক্কা জোরালো হবে এবং এ কারণে সৃষ্ট সংকটকে আরও প্রকট করে তুলতে পারে। দেশ-বিদেশের সার্বিক অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বুধবার বিকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বিদ্যমান ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

জাতীয় নির্বাচনে ‘নিরাপত্তা সামগ্রী’ কিনতে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে পুলিশ

নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা বজায় রাখতে’ চলতি অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত ১,২২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের পাঠানো একটি সাম্প্রতিক চিঠি অনুসারে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় হবে এ অর্থ। পুলিশের দেওয়া পণ্যের তালিকায় রয়েছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ, প্রয়োজনীয় মোটরযান ও জ্বালানী, গোয়েন্দা, অপারেশনাল ও নিরাপত্তা সামগ্রী।”প্রয়োজনীয় দাঙ্গা দমন সামগ্রী ও অপারেশনাল সামগ্রী পুলিশে সংযুক্ত করা না হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচন পূর্ব ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া দূরূহ হবে,” বলে উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে।এতে আরো বলা হয়েছে, “প্রয়োজনীয় দাঙ্গা দমন সামগ্রী ও অপারেশনাল সামগ্রী পুলিশে সংযুক্ত না হলে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে।”পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি (ফিন্যান্স অ্যান্ড বাজেট) মো. আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সূত্র: বিজিনেস স্ট্যান্ডর্ড।

রূপপুরের সঞ্চালন লাইনের বড় চ্যালেঞ্জ নদী পারাপার
অর্থায়নে ভারতীয় এলওসি থেকে বেরিয়ে আসছে পিজিসিবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দীর্ঘ সঞ্চালন লাইন। সাত প্যাকেজের মাধ্যমে এ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। প্রকল্পের বেশির ভাগ অর্থায়ন হচ্ছে ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায়। এলওসির আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এ-সংক্রান্ত অনেক শর্তও পরিপালন করতে হচ্ছে পিজিসিবিকে। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতাও বেড়েছে। কয়েকটি প্যাকেজের কাজ এগিয়েছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। বিশেষ করে নদীর ওপর দিয়ে সঞ্চালন লাইন পার করতে গৃহীত প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করাই এখন পিজিসিবির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে প্যাকেজটি বাস্তবায়নে ভারতীয় এলওসির আওতায় অর্থায়ন থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিজিসিবি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শেষ নাগাদ উৎপাদনক্ষম হয়ে উঠবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এটি উৎপাদন সক্ষম হলেও সময়মতো সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত না হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে বসিয়েই রাখতে হবে। যদিও এর ক্যাপাসিটি চার্জ, ঋণের অর্থ, সুদ পরিশোধসহ অন্যান্য ব্যয় ঠিকই বহন করতে হবে সরকারকে। কিন্তু প্রকল্পের প্যাকেজ-৬-এর আওতায় সঞ্চালন লাইনের ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী পারাপারের কাজটি বাস্তবায়নের গতি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অর্থনৈতিক মুনাফাযোগ্যতাকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পিজিসিবির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্যাকেজটির অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ২ শতাংশ। সূত্র: বণিক বার্তা ।

দক্ষিণে বাস ব্যবসায় নতুন মেরুকরণ

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পরিবহন ব্যবসায় নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ শুরু হয়েছে। দক্ষিণের ২১ জেলায় বাস মালিকদের আলাদা কমিটি আছে। তাঁরা সরাসরি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য। এখন এই ২১ জেলা নিয়ে একটি আঞ্চলিক সমিতি করতে যাচ্ছেন স্থানীয় নেতারা।
এতে দেশের এক-তৃতীয়াংশ জেলার প্রতিনিধিত্ব এই কমিটির হাতে চলে আসবে।পদ্মা সেতু চালুর পর রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের বাস যোগাযোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি বাড়ছে এই খাতে বিনিয়োগও। সাধারণত নতুন কেউ বাস নামাতে গেলে জেলা মালিক সমিতির সদস্য হতে হয়। সারা দেশেই এর জন্য সমিতিকে এককালীন বিপুল টাকা দিতে হয়। এরপর আছে প্রতিদিন বাস চালানোর জন্য নির্দিষ্ট হারে চাঁদা পরিশোধ। এই অঞ্চলে বাসের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তাই নড়েচড়ে বসছেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সমিতি ও এর বাইরের নেতারা। সূত্র: কালের কণ্ঠ

কুকুরের কামড়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর আহত হয় দু’লাখেরও বেশি মানুষ

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে গত ১০ বছরে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কমলেও প্রতিবছর কুকুরের কামড়ে আহত হচ্ছে দু’লাখেরও বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই শিশু। স্বাস্থ্য বিভাগ গত এক দশক ধরে জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল নিয়ে কাজ করছে, কিন্তু রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো কুকুরের কামড় থেকে মানুষকে রক্ষা করার ব্যাপারে তারা রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।এক সময় কুকুর নিধন করা হলেও এখন সেটি আইনে নিষিদ্ধ। আবার কুকুরকে টিকা দেয়ার কাজও যথাযথভাবে হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে কুকুরের সংখ্যা। আর এ নিয়ে ভয় ও উদ্বেগ আছে অনেকের মধ্যেই। এদেরই একজন ঢাকার শাহাজাদপুর এলাকার রুমানা আখতার ইতি বলছেন, “কুকুর অনেক ভয় পাই। সকালে অফিসের জন্য বের হয়ে দেখি সামনেই কুকুর। ওগুলো পার হয়ে গলির মুখে আসলে সেখানেও দেখি আরও কুকুর দাঁড়িয়ে আছে।” সূত্র: বিবিসি বাংলা।

রাজধানীতে ধর্ষণের অভিযোগ, তরুণীকে ঢামেকে ভর্তি

রাজধানীতে ধর্ষণের অভিযোগ করায় এক তরুণীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই তরুণীর বয়স আনুমানিক (২৫)। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় তরুণীকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে রাজধানীর তুরাগ থানা পুলিশ। এরপর চিকিৎসকরা তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান।ভিকটিমকে নিয়ে আসা উত্তরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর এলাকার রাস্তায় ওই তরুণীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে টঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।শরিফুল ইসলাম বলেন, ট্রিপল নাইনে সংবাদ পেয়ে টঙ্গী থানার পুলিশ প্রথমে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে তরুণী নারী অভিযোগ করেন যে, তাকে কয়েকজন ছেলে তুরাগ এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, মেয়েটি সঠিকভাবে কিছুই বলছে না, পাগলামি করছে। তার অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। আমরা ওই এলাকার কিছু সিসিটিভির ফুটেজ দেখেছি, সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। আশপাশের আরও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। সূত্র: রাইজিং বিডি