জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান ঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের কৃষিখাত: কৃষিমন্ত্রী
বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে এখন আমাদের সামনে অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে সামনে আসছে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সরকার কাজ করছে। ডায়নামিক লিডার হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর চাওয়াটায় হচ্ছে সবুজ বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করা। সে সেজন্যই কাজ করছে আমাদের সরকার।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে অর্থনীতির মুখে রয়েছে আমাদের কৃষিখাত। আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ এখনও কৃষির উপর নির্ভরশীল। দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। এদের মধ্যে অনেকেই দাড়িদ্রপীড়িত। এ জলবায়ু পরিবর্তনে তাই সবাই ÿতির মুখে পড়ছে। তাই আমাদের চাওয়াটা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অর্থনীতির মুখে পড়া কৃষিকে করা। সেজন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে গুরম্নত্ব দিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছেন। এ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে সাথে পানির স্তরও নীচে নেমে যাচ্ছে। আমরা সকল সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।
সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফল ফসলের জাত ও চাষ পদ্ধতির নানা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে দেশে কৃষি খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে কফি ও কাজু বাদাম উৎপাদন হচ্ছে। দেশের পতিত থাকা বিভিন্ন স্থানে ফল, ফসল ও সবজির উৎপাদন হচ্ছে। এক ফসলির জায়গায় আমরা তিন ফসল উৎপাদন করতে পারছি। হাওর ও নদীকেন্দ্রীক এলাকার কৃষিকেও আমরা করতে পারছি। সবই সম্ভব হয়েছে কৃষির অগ্রগতির কারণেই। এসময় মন্ত্রী বিভিন্ন দেশের কৃষি খাতের উদাহরণ টানেন। সরকারের পাশাপাশি গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান মন্ত্রী।
প্রফেশনালদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে এখন দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে আসছেন। এটা ভালো নয়। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি দেশের প্রফেশনালদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে আমাদের দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন চলমান যুদ্ধের কারণে নিত্যপন্যের দাম বেড়ে দেশের মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমাদের কয়েকগুণ বেশী দামে সার কিনতে হয়েছে। শিপমেন্টের কারণে সময়মতো সার আনতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকবেলা করতে হয়েছে। এতে কৃষিও অর্থনীতির মুখে পড়েছে।
আজ (১ অক্টোবর )শনিবার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামে খ্রীস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশে (সিসিডিবি) ক্লাইমেট সেন্টার উদ্বোধন শেষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড জার্মানির ইন্টারন্যাশনাল প্রোগাম ডিরেক্টর মিস পেট্টা বারনার, সিসিডিবির ক্লাইমেট অ্যাডভাইজারি বডির সম্মানিত কো-চেয়ারম্যান ড. আইনুন নিশাত, সদস্য ড. সালিমুল হক, সিসিডিবি কমিশনের চেয়ারম্যান ডেভিড এ হালদার ও প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মিস জুলিয়েট মালাকার।
