হবিগঞ্জে গো-খাদ্যের সংকট, বিপাকে খামারিরা

হবিগঞ্জ সংবাদদাতাহবিগঞ্জ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ২:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২২

সংগৃহীত

বন্যার প্রভাবে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এই উপজেলায় অধিকাংশ মানুষের জীবিকার প্রধান অবলম্বন গবাদিপশু হওয়ায় পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।

জানা গেছে, লাখাইয়ে গরুর প্রধান খাদ্য খড়ের মূল্য তিন মাস আগে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা মণ বিক্রি হলেও বর্তমানে প্রতিমণ খড় বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। খড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গবাদিপশুর অন্যান্য খাবারের দামও। দানাদার গো-খাদ্য আগে বিক্রি হত প্রতি বস্তা এক হাজার ১৫০ টাকায়। কিন্তু এখন তা এক হাজার ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সরিষার খৈল ও ফিড ৪০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৬০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

লাখাই উপজেলার খড় বিক্রেতা ফজর আলী গণমাধ্যমকে বলেন, এবার আমন ধানের ক্ষতি হওয়ায় খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই বাইরে থেকে খড় কিনে এনে বিক্রি করতে হয়। এজন্য গরুর খামারিদের কাছ থেকে বাধ্য হয়ে ৮০০ টাকা মণ নিতে হচ্ছে।

খামারি নজরুল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ৩৫০ টাকার খড় ৮৫০ টাকা হওয়ায় তিনি ১০টি গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বাজারে বেড়েছে অন্যান্য গো-খাদ্যের দামও। এই পরিস্থিতিতে এবার লোকসান গুণতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে লাখাইয়ে গাভীর খামার রয়েছে ১১২টি, গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ খামার ১৩৭টি, ছাগলের ৬৭টি এবং ভেড়ার খামার রয়েছে ৪১টি। এগুলোতে ৩৫ হাজার ১৩৯টি গরু, ২২টি মহিষ, পাঁচ হাজার ৪৫৮টি ছাগল এবং ২ হাজার ৪৮৭টি ভেড়া রয়েছে।

লাখাই উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহাদাত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যার কারণে অন্যান্য বছরের মতো গো-খাদ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এই সংকট মোকাবিলার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ঘাস চাষের জন্য খামারিদের উদ্বুদ্ধ করছি। তাদেরকে ঘাসের বীজও সরবরাহ করা হচ্ছে।

Nagad

সারাদিন/০৩ অক্টোবর/এমবি