আজ কুমারী পূজা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা আজ। রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে মহাঅষ্টমীর দিনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সব নারীতে মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার লক্ষ্য।
রোববার (৩ অক্টোবর) সকালে নির্দিষ্ট কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হবে। ফুলের মালা, চন্দন ও নানান অলংকার-প্রসাধন উপাচারে নিপুণ সাজে সাজানো হবে কুমারীকে।
গতকাল মহাসপ্তমীর দিনে সকাল থেকে রাজধানীর পূজাম-পগুলোতে মানুষের ঢল নামে। বিকেলের দিকে দর্শনার্থী বাড়তে থাকে। জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ দেশের স্থায়ী ও অস্থায়ী ৩২ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ ঢাকের বাদ্য, চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠ, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে মুখর ছিল। আজ মহাষ্টমীতে দর্শনার্থী আরও বাড়বে বলে মনে করছেন আয়োজকরা। আগামীকাল মহানবমী ও বুধবার বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব শেষ হবে।
এদিকে মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শনিবার শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্যদিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর দুর্গোৎসব শেষ হবে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকানুযায়ী, সোমবার মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনসহ কয়েকটি স্থানে প্রতিবছরের ন্যায় এবছর কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধিপূজা শুরু হবে বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে এবং সমাপন বিকেল ৫টা ৩২ মিনিটের মধ্যে।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ জানিয়েছে, সারা দেশে এ বছর ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে মণ্ডপের সংখ্যা ২৪১টি। এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদ্যাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদ্যাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয়েছে মণ্ডপ পাহারার জন্য।