কন্যাশিশুর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ কন্যা শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সর্বোপরি সমাজ ও পরিবারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের কন্যাশিশু আগামী দিনের নারী। তাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি কন্যাশিশুর অধিকার, শিক্ষা, পুষ্টি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।’
রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
‘সময়ের অঙ্গীকার, কন্যাশিশুর অধিকার’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২২’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশের সকল কন্যাশিশুর প্রতি এ উপলক্ষ্যে রইলো আমার আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা’।
তিনি বলেন, নারীর সার্বিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে বাল্যবিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং প্রতিরোধসহ সামাজিক ও পারিবারিক বৈষম্য ও নির্যাতন থেকে কন্যা শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে হবে।
সরকার নারী ও কন্যাশিশুদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মেয়েদের বিনা বেতনে অধ্যয়নসহ উপবৃত্তি প্রদন করা হচ্ছে। সরকারের এ সকল পদক্ষেপের ফলে মেয়েদের শিক্ষার হার বেড়েছে, বাল্যবিবাহ ও যৌতুকের হার কমে এসেছে। মেয়েরা এখন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হয়ে ঈর্ষণীয় সফলতা প্রদর্শন করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের মেয়েরা সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালনের মাধ্যমে কন্যাশিশুর অধিকারসহ সার্বিক বিষয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং দেশের মেয়েরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার পথে আরো দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ইতিবাচক ভূমিকার কারণে আমাদের নারী ও মেয়েরা আজ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে। তবে পরিবার থেকেই নারীর মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে শিক্ষাদান শুরু করতে হবে।’
তিনি ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।