হাসপাতালের নার্সের কোলেই বেড়ে উঠছে জায়ান, উধাও মা বাবা

একজন নবজাতকের সবচেয়ে বড় নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে মায়ের কোল। সেই নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছাড়াই বড় হচ্ছে নবজাতক ছেলে জায়ান।

নাড়ী ছেড়ে জায়ান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই হাসপাতালে অসহায় জায়ানকে রেখে হাসপাতাল ত্যাগ করেন জায়ানের মাতা-পিতা।

মাতা-পিতাকে যখন কোন খোজ মিলছে না ঠিক তখন হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তারই তার দায়িত্ব পালন করতে থাকেন, সুস্থ রাখার সকল চিকিৎসা, যত্ন সবই পায় জায়ান। জায়ানের নামটাও দেওয়া হাসপাতালের নার্স মুসফিকা জাহান জিমের।
সেই সাথে গত দেড়মাস যাবত মা-বাবা ছাড়াই আশুলিয়ায় গনি জেনারেল হাসপাতালে পালিত হচ্ছে জায়ান।

মঙ্গলবার ( ৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আশুলিয়ার পল্লী-বিদ্যুৎ এলাকার গণি জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা মিলে ফুটফুটে নবজাতক জায়ানের।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট দুপুরে সিজারের মাধ্যমে জন্ম হয় জায়ানের।

জন্মের পর তার মা-বাবা তাকে না নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগকরে চলে যায়। তারপর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার দেখভাল করছেন। এখন পর্যন্ত সে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে বলে জানান তার চিকিৎসক।

তার পরিচর্যায় থাকা নার্স মাফিয়া বেগম বলেন, জন্মের পর থেকে আমরা তিন-চারজন মিলে তার পরিচর্যা করছি। তাকে নিয়মিত দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। তাকে পালতে আমাদের অনেক ভালো লাগছে।

Nagad

এ বিষয়ে ডা. কাজী দিলখুশা আহমেদ বলেন, আমি এই নবজাতককে আমাদের সন্তানের মতো করে পালছি। তার পরিচর্যার ব্যাপারে বিন্দু মাত্র গাফিলতি হচ্ছে না। জন্মের পর থেকে এখন পর্যন্ত সে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে সমাজ সেবা কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কাজ করি। এই নবজাতকের বিষয়েও তাদেরকে সাথে নিয়ে আমরা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শীবলীজ্জামান বলেন, এ ধরনের কোনও তথ্য আমাদের কাছে নাই। আপনি সম্পূর্ণ তথ্য দিন, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।