স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন পেসার আল আমিন!

খেলাধুলা ডেস্কখেলাধুলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২২

সংগৃহীত

জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দিয়েছেন। আজ আদালতে আল আমিনের দেওয়া লিখিত জবাবে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আল-আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে উপস্থিত হন ক্রিকেটার আল আমিন। এরপর মামলার বিষয়ে ৭ পাতার একটি লিখিত জবাব দাখিল করেন তিনি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে পাঁচদিন পর শুনানি হবে।

আইনজীবী শামসুজ্জামান বলেন, আসামি আল আমিন আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে লিখিত জবাব দাখিল করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, তিনি গত ২৫ আগস্ট তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তবে তার স্ত্রী তালাক সংক্রান্ত কোনও কাগজ পাননি।

ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান বলেন, আমি তালাকের বিষয়ে কিছুই পাইনি। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। আমি ন্যায়বিচার চাই।

এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে ক্রিকেটার আল আমিন আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ০৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

Nagad

তারও আগে ০৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করেন আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়াশোনা করছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন তার স্ত্রী-সন্তানদের ভরণ-পোষণ দেন না এবং খোঁজ না রেখে এড়িয়ে চলেন। যোগাযোগও করেন না।

গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল-আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। সংসার করবেন না বলে জানান। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এই ঘটনায় ০১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।

সারাদিন/০৬ অক্টোবর/এমবি