আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২২

সরেজমিন চাঁদপুর—১
সংসদ সদস্যদের মুখোমুখি আওয়ামী লীগের নেতারা
কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের দ্বন্দ্ব। সংঘাত ও পাল্টাপাল্টি মামলা। নেতারা বলছেন, দল দুর্বল হচ্ছে।

চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পান ইউসুফ গাজী। জেলা আওয়ামী লীগের এই সহসভাপতি শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য দীপু মনির পক্ষে রাজনীতিতে সক্রিয়। তবে চেক জালিয়াতি মামলায় আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইউসুফ গাজীর মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের একটি অংশ শুরু থেকেই জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবু ওসমান পাটোয়ারীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। আবু ওসমান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিবিরোধী হিসেবে পরিচিত। তবে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে তিনি তাঁর প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী ছিলেন। ২০১৪ সালের ভোটের পর তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। দলীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। প্রায় একই চিত্র জেলার অন্য চারটি সংসদীয় আসনেও। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের দ্বন্দ্বের কারণে সংঘাত ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনা ঘটছে। একাধিক উপজেলায় একটি দুটি নয়, অন্তত চারটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। এসব ঘটনায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করছে।নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলে উপদল তৈরি হওয়ায় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে প্রতিপক্ষ মনে করছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে হামলা, পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনাগুলোতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নেতাদের দ্বন্দ্বের কারণে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

১৪৩ কোটি টাকার অনিয়ম

সাধারণত কারাগারের ভেতরে সব ধরনের কাজ কয়েদিদের দিয়ে করানো হয়। বিপরীতে কয়েদিদের পারিশ্রমিকও দেওয়া হয়। কিন্তু কেরানীগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে বাইরের ৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষের হিসাবেই উল্লেখ আছে। যদিও এই তিন কারাগারে সর্বোচ্চ ১৩ জনকে নিয়োগ দিতে পারে কর্তৃপক্ষ।জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী, এক বছরে ১৩ জনের বেতন হয় ২৬ লাখ ২৭ হাজার ৪০ টাকা। সেখানে ৫০ জনের নিয়োগ দেখিয়ে বেতন বাবদ তোলা হয়েছে এক কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ১৯০ টাকা। অর্থাৎ অতিরিক্ত খরচ তোলা হয়েছে এক কোটি ৫২ হাজার ১৫০ টাকা।শুধু এটিই নয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে করা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেশের ১৩ কারাগারের ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ৮১৬ টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, পালাতে গিয়ে তিন কলেজছাত্রের মৃত্যু

ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিন কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদরের আঠারো মাইল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি মুরাদ হোসেন, সাধারণ শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম এবং সমরেশ বিশ্বাস। নিহতের সহপাঠী ও স্থানীয়রা জানায়, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের আঠারো মাইল নামক স্থানে বিদ্যুতের পিলার ভর্তি একটি লরি দাঁড়িয়ে ছিল। রাতে মুরাদ, তৌহিদুল ও সমরেশ মোটরসাইকেলে করে ঝিনাইদহ শহর থেকে ভেটেরিনারি কলেজে ফিরছিল। এসময় দাঁড়িয়ে থাকা ওই লরিটির সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সরকারী ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ডিগ্রী বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম আহমেদের সাথে বর্তমান জিএস সজীবের বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে মুরাদ ও সজীবসহ আরও কয়েকজন শহর থেকে ক্যাম্পসে ফিরছিল। সূত্র: সমকাল

Nagad

ইভিএম নিয়ে কেন এত প্রশ্ন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্র্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক দলগুলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমে ভোট করার পক্ষে বললেও বিএনপি এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা ইভিএমকে কারচুপির যন্ত্র বলছে। জাতীয় পার্টিও সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে রয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচন বিশ্লেষকরাও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট না করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

সামনের বছর বৈশ্বিক মন্দা দেখা দিলে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং সে কারণে তার সরকার ইতোমধ্যেই আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।এর আগে গত মাসেই বিশ্বব্যাংকও তাদের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছিলো যে বিশ্ব অর্থনীতি ২০২৩ সালের দিকে মন্দার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। মূলত দু বছরের করোনা মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরেই বিশ্বে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, যা মোকাবেলায় দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার হিমশিম খাচ্ছে।তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক অর্থনীতির এ হালের জন্য এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ আর পরাশক্তি গুলোর নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের মানুষকে প্রতি ইঞ্চি জমিতে শস্য আবাদের পরামর্শ দিয়েছেন যাতে করে উৎপাদন বাড়িয়ে মানুষ সঞ্চয় করতে পারে।প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে আমেরিকা ও রাশিয়ার নানা পদক্ষেপের কারণে ইতোমধ্যেই অর্থনীতিতে নানা প্রভাব পড়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বেড়েছে অনেকখানি। সামনে সংকট আরও বেশি হলে অর্থনীতির অবস্থা কেমন দাঁড়ায় তা নিয়ে তাই বেশ উদ্বেগ আছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

৫৯ ব্যাংক ও ৩২ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চিত্র
শিল্পে ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে শিল্পঋণে খেলাপি ৫৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে প্রায় ৩০ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংকে ২৪ দশমিক ৬২ শতাংশ আছে।রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং ১০টি ব্যাংক ও ২১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১৫ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণ বিতরণে যথাযথ নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ঘুরেফিরে ঋণ পাচ্ছেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ব্যাংকের টাকা ফেরত দেন না। আবার কেউ কেউ নামে-বেনামে ব্যাংক থেকে টাকা বের করে বিদেশে পাচার করছেন। সাধারণত এসব টাকা আর ফেরত আসে না। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত শিল্পঋণে খেলাপির অঙ্ক ৫৮ হাজার ১৪৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা গত মার্চে ছিল ৫২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা বা ১১ শতাংশ। সূত্র: যুগান্তর।

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে পড়ে থাকা ৩৪৪৫ কোটি টাকার মালিক কে?
দরিদ্রদের জন্য অনুদান দিতে সরকার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রকল্প থেকে তা সদস্যদের কাছে পৌঁছায়নি। সদস্যদের অনুদান দেওয়ার জন্য সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া সেই টাকা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে পড়ে আছে, যার পরিমাণ বর্তমানে ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। ওই টাকার মালিকানা সমিতির সদস্যদের নাকি ব্যাংকের, তা স্পষ্ট নয়। পল্লী এলাকার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের কম সুদে ঋণ দিয়ে তাদের জীবনমানের উন্নয়নে প্রায় এক যুগ আগে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতায় ‘কল্যাণ অনুদান’ নামে একটি বিশেষ ফান্ড ঘোষণা করেছিল সরকার। কথা ছিল, এই প্রকল্পের আওতায় গঠিত গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা বছরে ২ হাজার ৪০০ টাকা জমা করলে সরকার থেকে ওই সদস্যকে সমপরিমাণ অর্থ অনুদান দেওয়া হবে। ঘোষণা অনুযায়ী দরিদ্রদের জন্য অনুদান দিতে সরকার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রকল্প থেকে তা সদস্যদের কাছে পৌঁছায়নি। সদস্যদের অনুদান দেওয়ার জন্য সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া সেই টাকা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে পড়ে আছে, যার পরিমাণ বর্তমানে ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। ওই টাকার মালিকানা সমিতির সদস্যদের নাকি ব্যাংকের, তা স্পষ্ট নয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ইন্সপেকশন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০০৯ সালে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। পরে তা ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রকল্পটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ২০১৭ সালে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করে। যদিও প্রকল্পটি হস্তান্তর হয় ২০২১ সালের জুনে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ।

চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড
১১ বছরে মেয়াদ বেড়েছে ৭ বার, ব্যয় বেড়েছে ২৪৯৩ কোটি

বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমানো, বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা, শহর যানজটমুক্ত রাখাসহ পর্যটনশিল্প বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম শহরের অবকাঠামো উন্নয়ন তাই জরুরি। ২০১১ সালে ‘চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড’ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। উদ্দেশ্য ছিল শহরের যানজট নিরসনসহ বেশ কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন। একে একে ১১টি বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কাজ। মেয়াদ বেড়েছে সাত দফা। নতুন করে চতুর্থ দফায় ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ায় ৮৫৬ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রকল্প গিয়ে ঠেকেছে ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার টাকায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, জানুয়ারি ২০১১ থেকে ডিসেম্বর ২০১৪ মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৩৫ লাখে, তৃতীয় প্রস্তাবে ব্যয় দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৭৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। চতুর্থ ধাপে ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়। ফলে মূল প্রকল্প থেকে চতুর্থ সংশোধিত প্রস্তাব পর্যন্ত ব্যয় বাড়ছে ২ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। সূত্র: জাগো নিউজ

ঋণ সীমায় হাত না দিয়ে রেপোর কৌশল, মূল্যস্ফীতি বশে আসবে?

মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে চার মাসের মধ্যে তিনবার নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক ঋণের সুদহার না বাড়িয়ে তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কতটা ভূমিকা রাখছে সেই আলোচনা সামনে এসেছে এরপর। অর্থনীতিবদরাও একই প্রশ্ন রেখে বলছেন, শুধু রেপোর সুদহার বাড়িয়ে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমিয়ে আনার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার পদক্ষেপ তেমন কাজে আসবে না। ঊর্ধ্বমুখী ঋণ প্রবৃদ্ধিকে ধীর করতে খুব একটা সুফল মিলবে না এ কৌশলে। ব্যাংক ঋণের সুদহারে সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে রেখে এ পদক্ষেপের কার্যকর ফল পাওয়া যাবে না বলে তাদের পর্যবেক্ষণ।এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ঋণের সুদহার বাড়লেই তা বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমাতে ভূমিকা রাখবে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে। কেননা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বোচ্চ সীমা বহাল থাকার নির্দেশনায় রেপোর কারণে ব্যাংকের অর্থ ধার নেওয়ার খরচ বাড়লেও ঋণ দিতে সুদহার ৯ শতাংশের বেশি বাড়ানোর সুযোগ বন্ধ। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এ পদক্ষেপ ঋণ কমিয়ে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমাতে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। সূত্র: বিডি নিউজ

আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা নীতি লুফে নিচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা

বিত্তবান বিদেশীদের আকৃষ্ট করতে ২০১৯ সালে গোল্ডেন ভিসা চালু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাংলাদেশী ধনিক শ্রেণীর অনেকেই আমিরাতের দেয়া এ সুযোগ লুফে নিচ্ছেন। ব্যাংক পরিচালক, পোশাক ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর, রেল ও সড়কের সামনের সারির ঠিকাদার—দেশের বড় ও মাঝারি এমন অনেক পুঁজিপতিই এখন আমিরাতের গোল্ডেন ভিসাধারী। আর দুবাইয়ের এ গোল্ড কার্ডধারী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দেশ থেকে বিপুল অংকের পুঁজি পাচার হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একসময় বাংলাদেশের ধনিক শ্রেণীর পুঁজিপতিদের কাছে অবকাশযাপনের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল দুবাই। তবে কয়েক বছরে বিনোদনের পাশাপাশি দুবাইকে ঘিরে ব্যবসায়িক কার্যক্রমেরও ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছেন বাংলাদেশী বিত্তবানরা। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশটির আবাসন খাতে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছেন বাংলাদেশীরা। এছাড়া দেশের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে দুবাইকে। জানা যায়, গোল্ডেন ভিসাধারী ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা আমিরাতে ১০ বছরের রেসিডেন্সিয়াল সুবিধা পান। ভ্রমণের ক্ষেত্রে গোল্ডেন কার্ডধারীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া বেশ সহজ। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধা দেয়া হয় ভিসাধারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের। ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পাওয়ার প্রক্রিয়াগুলোও এক্ষেত্রে তুলনামূলক সহজ। এদিকে সম্প্রতি গোল্ডেন ভিসাকে আরো জনপ্রিয় করতে এর প্রক্রিয়া সহজতর করার পাশাপাশি এর সুযোগ-সুবিধার পরিধি আরো প্রসার করেছে আরব আমিরাত। আগে গোল্ডেন কার্ডধারীরা টানা ছয় মাসের বেশি আমিরাতের বাইরে অবস্থান করার সুযোগ ছিল না। তবে ৩ অক্টোবর সংশোধন করা নীতি অনুযায়ী, গোল্ডেন ভিসাধারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশটির বাইরে অবস্থান করতে পারবেন। সূত্র: বণিক বার্তা।