পার্লারের হোম সার্ভিসে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা
ফেসিয়াল করার কথা বলে বাসায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারী (২৫) ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। এর আগে বিউটি পার্লারের (রূপসজ্জা) হোম সার্ভিসের কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে এক বিউটিশিয়ানকে (২৫) ধর্ষণ করেছে তিন যুবক। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। পরে পাঁচ মাসের ওই অন্তঃসত্ত্বাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শুক্রাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্যে এরই মধ্যে ঘটনাস্থল শনাক্ত করে জড়িত তিন বন্ধুর নাম-পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ।
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করে পুলিশ। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, ফেসবুকে অর্ডার পেলে বাসায় গিয়ে মেয়েদের বিউটি পার্লারের কাজ করেন ওই নারী। মঙ্গলবার রাতে এক নারীর অর্ডার পেয়ে সাভার থেকে ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের বয়েজ স্কুলের কাছ যান তিনি। সেখানে ওই নারী একজন পুরুষকে দিয়ে তাকে রিসিভ করান। সেখান থেকে শুক্রাবাদের একটি বাড়ির দোতলার বাসায় নিয়ে যান। ওখানেই তিনজন পুরুষ তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। গর্ভাবস্থার কথা জানিয়ে অনুনয় করেও রক্ষা পাননি তিনি। পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে গাবতলী পর্যন্ত আসে। সেখানে এক ব্যক্তির মোবাইলে সিম ঢুকিয়ে তার স্বামীকে ফোন দিলে তিনি গাবতলী থেকে তাকে সাভারে নিয়ে যান।
পারলার কর্মীর স্বামী বলেন, তার স্ত্রী পারলারে কাজ শিখেছেন। তিনি বাসায় গিয়ে রূপচর্চা সেবা দেন। অনলাইনে এমন একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, শারীরিক অবস্থা ভালো না হলেও ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে সব রকম তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন তরুণী। এমনকি চিকিৎসকরা আপত্তি জানালেও তিনি গতকাল পুলিশের সঙ্গে গিয়ে বাসাটি চিনিয়ে দেন। গতকাল সন্ধ্যায় শুক্রাবাদ মসজিদের পাশে দোতলা বাসাটি পরিদর্শন করে পুলিশ। এ সময় ওই বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকা রিয়াদ নামে এক যুবককে তিন ধর্ষকের একজন বলে জানান ভুক্তভোগী। যদিও ভুক্তভোগীর এ অভিযোগ মানতে নারাজ রিয়াদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা উল্টো ভুক্তভোগীকেই গালমন্দ করেন। অভিযুক্ত রিয়াদের বোনসহ পরিবারের একাধিক সদস্য টিকটক ভিডিও তৈরি করেন বলে জানা গেছে। সেখানে এমন কিছু সরঞ্জামও পেয়েছে পুলিশ।