আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২২

ইভিএমের প্রচারে ২০৬ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে ব্যাপক প্রচার চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল, টিকটক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভিএমের পক্ষে প্রচার চালানো হবে। ইভিএমবিরোধীদের মোকাবিলায় জনপ্রিয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাজে লাগানো হবে। ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রচার চালানো হবে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য গতকাল বুধবার পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। ইভিএম প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ২ লাখ ইভিএম কেনা হবে। প্রতিটির একক দর ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। বর্তমানের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম রয়েছে। আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট হবে বলে নির্বাচন কমিশন আগেই ঘোষণা দিয়েছে। তবে ইভিএম ব্যবহারে প্রবল আপত্তি জানিয়ে আসছে বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। প্রকল্পের নথি থেকে জানা যায়, ভোটার শিখন, ইভিএম নিয়ে জনসচেতনতা ও দেশব্যাপী ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রচার চালাতে ২০৬ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইভিএমে ভোট গ্রহণে দক্ষতা বাড়াতেও এ অর্থ ব্যয় করা হবে। সূত্র: প্রথম আলো

চার অঞ্চলে সামরিক আইন

ক্রমেই এগোতে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার মুখে ইউক্রেনের দক্ষিণের খেরসন অঞ্চল থেকে হাজারো নাগরিক ও রাশিয়ার নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। রুশ সমর্থিত স্থানীয় নেতা ভ্লাদিমির সালদো এই খবর নিশ্চিত করেছেন। ভ্লাদিমির সালদো বলেন, ৫০ থেকে ৬০ হাজার নাগরিক দনিপার নদীর পশ্চিম তীরের চার শহর থেকে ‘সুশৃঙ্খলভাবে ধীরে ধীরে সরে যাবে’। খেরসন শহরে রাশিয়ার নিযুক্ত কর্মকর্তারাও নদীর অন্য পারে চলে যাবেন বলে জানা গেছে।রাশিয়ার টিভিতে সম্প্রচারিত ফুটেজে দনিপার নদীর কাছে বেশ কিছুসংখ্যক মানুষকে জড়ো হয়ে নৌযানের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তবে ঠিক কতজন শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তা জানা যায়নি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ইসির অবস্থানে সাবেকদের সমর্থন
মাঠ প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে রাখার তাগিদ, ইভিএম নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অভিমত, এনআইডি ইসিতে রাখার পক্ষে সবাই গাইবান্ধা ভোট বন্ধ সাংবিধানিকভাবে সঠিক : সিইসি

অনিয়মের কারণে মাঝপথে গাইবান্ধা-৫ আসন উপনির্বাচন বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবরা। এ নির্বাচনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনের শক্ত অবস্থানের বার্তা দেওয়ার পরামর্শও দেন তারা। বলেছেন, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভোট বন্ধ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়বে। এদিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলেছেন সাবেক ইসিরা। এ ছাড়া রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচনে ডিসি-এসপিরা সরকারের কথাই শুনবেন, নির্বাচন কমিশনের নয়। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠপ্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং সংসদ নির্বাচনের আগেই ডিসি-এসপিদের সঙ্গে দূরত্ব দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। অন্যদিকে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে ইভিএম ও ভোটার তালিকার ডাটাবেজ সম্পর্কিত। তাই এনআইডি কার্যক্রম অন্য সংস্থার হাতে গেলে ম্যানিপুলেট হতে পারে; এ ক্ষেত্রে ভোটার তালিকার শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, রাজনৈতিকভাবে এটি ব্যবহার হবে; ইসি সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধার মুখে পড়বে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণœ হবে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি, ইসি ও সচিবরা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

ইভিএম কেনার প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে
দুই লাখ সেটের দাম ৬৬৬০ কোটি টাকা
মোট প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা * পর্যায়ক্রমে দেশের সব স্থানীয় নির্বাচনেই ব্যবহার হবে ইভিএম

একেকটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা হবে ৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকায়। এজন্য ২ লাখ ইভিএম কিনতে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরেই চাওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এছাড়া আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯৯৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। তবে পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১৫০ আসনের জন্য ইভিএম কিনতে এমন প্রস্তাব। এজন্য ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। বুধবার এটি এসেছে পরিকল্পনা কমিশনে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ইভিএম একটা জালিয়াতির যন্ত্র। এই যন্ত্র কিনতে কৃচ্ছ সাধনের সময়ে এত বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যয় করাটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইভিএম নিয়ে যে অভিযোগ আছে সেগুলো সমাধান না করে এমন উদ্যোগ ঠিক নয়। এটা একদিকে অর্থের অপচয়, অন্যদিকে দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে জালিয়াতির দিকে নিয়ে যাওয়ার একটা চূড়ান্ত পদক্ষেপ। যদি এমন হতো-অতীতের অভিযোগগুলোর সমাধান হয়েছে, সুষ্ঠু ভোট করা যাচ্ছে, তাহলে গণতন্ত্রের স্বার্থে হয়তো এত টাকা খরচ করা যেত। তখন কোনো প্রশ্ন উঠত না। সূত্র: যুগান্তর ।

বৈঠকে ‘স্বস্তি’ খুঁজে পেল ইসি

গাইবান্ধার উপনির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্তে চাপের মুখে পড়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়ায় বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যায় কমিশনর। এই চাপ উতরাতে কমিশনের সাবেক সদস্য ও কর্মকর্তাদের ডেকে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করার চেষ্টা করেছে ইসি। গতকাল বুধবার ইসির সাবেক কর্ণধারদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ভোট বন্ধের এই সিদ্ধান্তকে সবাই একযোগে সমর্থন জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালও সাংবাদিকদের কাছে নিজের স্বস্তির বিষয়টি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘গাইবান্ধায় ইসির অ্যাকশনটা সঠিক হয়েছে বলে সবাই সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা গুরুজন হিসেবে আমাদের সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।’ সূত্র: সমকাল

অর্থনৈতিক ভিত্তির বৈচিত্র্য কমেছে
প্রবৃদ্ধির প্রধান প্রভাবক এখন অবকাঠামোগত বিনিয়োগ

দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের নীতি সংস্কার হয় নব্বইয়ের দশকে। এসব সংস্কারের মধ্য দিয়ে অর্থনীতির ভিত্তিগুলোও হয়ে ওঠে বৈচিত্র্যপূর্ণ। সংস্কারগুলোর মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতেরও বড় ধরনের বিকাশ ঘটেছিল। এর পরের সময়টিতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ। বর্তমানে এ অবকাঠামোগত বিনিয়োগকেই দেখা হচ্ছে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে। এতে আপাতত উচ্চপ্রবৃদ্ধি মিললেও বৈচিত্র্য হারিয়ে অনেকটাই এককেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে অর্থনৈতিক অগ্রগতি। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নব্বইয়ের দশকে নানামুখী সংস্কারের মধ্য দিয়ে প্রবৃদ্ধির যে বৈচিত্র্যপূর্ণ ভিত্তি দাঁড়িয়েছিল, সেটি এখন অনেকটাই অনুপস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বড় প্রবৃদ্ধির দেখা মিললেও অর্থনীতি হয়ে পড়েছে অনেকটা এককেন্দ্রিক। কর্মসংস্থান তৈরিতে এর কোনো প্রভাবও দেখা যাচ্ছে না। মানবসম্পদ উন্নয়ন বা প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিক থেকেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে সামনের দিনগুলোয় দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির টেকসই ধারা ধরে রাখা যাবে কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

ডব্লিউটিওর নেট খাদ্য আমদানিকারকের স্বীকৃতি চাইবে ঢাকা

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে নেট খাদ্য আমদানিকারক উন্নয়নশীল দেশের (এনএফআইডিসি) স্বীকৃতির জন্য আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এ স্বীকৃতি পাওয়া গেলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরও কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দিতে পারবে বাংলাদেশ। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর শুল্ক সুবিধা প্রত্যাহারের কারণে এমনিতেই বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে সরকার বাংলাদেশকে এনএফআইসিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে টিবিএসকে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এজন্য চলতি বছর থেকে সরকার দেশের খাদ্যপণ্য আমদানি ও রপ্তানির তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ডব্লিউটিওকে জানাবে বলেও জানান তারা। ডব্লিউটিওর নিয়মানুযায়ী, একটি দেশ পরপর পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছর কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানির চেয়ে অধিক পরিমাণ আমদানি করলে ওই দেশ এনএফআইসি হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

সিলেটে ৪ দিন ৯ ঘণ্টা করে থাকবে না বিদ্যুৎ

সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত টানা চার দিন শিডিউল অনুযায়ী সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। জরুরি মেরামত, সংরক্ষণ কাজ ও লাইনের ওপর থাকা গাছের শাখা-প্রশাখা কাটার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই-আরেফিন গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন।শামছ-ই-আরেফিন জানান, বৃহস্পতিবার নগরীর সোনারপাড়া, পূর্বাশা ক্লিনিক, মজুমদারপাড়া, দর্জিপাড়া, পূর্ব মিরাবাজার ও খারপাড়ায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শুক্রবার মহানগরীর বন্দরবাজারের হকার্স মার্কেট, কালীঘাট, মহাজনপট্টি, বটেরতল, মাছিমপুর ও ছড়ারপারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শনিবার মহানগরীর বালুচর, শান্তিবাগ আ/এ, আল-ইসলাহ আ/এ, সোনার বাংলা আ/এ, আলুরতল, গোপালটিলা, আরামবাগ, দলদলি চা বাগান এবং আশপাশের এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। রোববার মহানগরীর রায়নগর, ঝর্ণারপাড়, দর্জিবন্দ, খরাদিপাড়া, দপ্তরিপাড়া, মনিরের দোকান, আগপাড়া, বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও আশপাশের এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সূত্র: কাল বেলা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: ১৭ বছরে শুধু একটি হল

বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রার ১৭ বছরে মাত্র একটি আবাসিক হল পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা; পুরনো হলগুলো উদ্ধার, উদ্ধার হওয়া হলগুলোর সংস্কার আর নতুন হল নির্মাণের দাবি এখনও অপূর্ণই রয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্পাসে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক। এরপর দিনব্যাপী চলবে নানা আয়োজন।
২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হলেও ছাত্রাবাসসহ অন্যান্য সুবিধা না থাকায় নিয়মিত আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।তার আন্দোলনের পর ২০১৪ সালে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এটিই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম হল। লিয়াকত এভিনিউয়ের সেই হলে ছাত্রীরা ওঠেন চলতি বছরের মার্চে। এ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তূর্ণা মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, “হল হওয়ায় এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটা আরও ভালো করে উপভোগ করতে পারব৷ আয়োজনের মূল আকর্ষণটাই থাকে সন্ধ্যার দিকে। বাসা দূরে থাকায় অন্যবার চলে যেতে হত, এবার হলে থেকে দেখতে পারব।” সূত্র; বিডি প্রতিদিন।

লিজিংয়ের শেয়ার ছাড়ছে বিদেশিরা, কিনছে প্রতিষ্ঠান

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং কোম্পানির সংখ্যা ২৩টি। এরমধ্যে নানা সংকটে থাকা পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার দীর্ঘদিন ধরে লেনদেনই হয় না। নিয়মিত শেয়ার লেনদেন হওয়া বাকি ২২টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৯টিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আছে। যদিও এ বিনিয়োগের পরিমাণ বেশ কম। আর বাকি ১৩টি কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগ একেবারেই নেই।এ পরিস্থিতিতেও গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনটি প্রতিষ্ঠানের বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। অবশ্য বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিক্রি করলেও এ কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনেছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ নিয়ে কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বে-লিজিং, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স (ডিবিএইচ), আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, মাইডাস ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের শেয়ারে বিদেশিদের বিনিয়োগ আছে। এরমধ্যে সেপ্টেম্বরে বে-লিজিং, ডিবিএইচ এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্সের বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বিদেশিরা। অবশ্য বিদেশিরা বিক্রি করলেও এসময়ে নতুন করে এই কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনেছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। এরমধ্যে বে-লিজিংয়ের যে পরিমাণ শেয়ার বিদেশিরা বিক্রি করেছেন, তার থেকে অনেক বেশি শেয়ার প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কিনেছেন। সূত্র: জাগো নিউজ

পার্বত্য চট্টগ্রাম: সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ আসলে কারা

বাংলাদেশ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করলেও সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পাতায় দাবি করেছে তারা বাংলাদেশের কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন নয়। একই সাথে তারা জানিয়েছে, তাদের ভাষায়, “সুবিধা বঞ্চিত কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর জন্যে স্বশাসিত বা পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ক্ষমতাসহ একটি ছোট রাজ্য” চাইলেও তারা কোন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি।তবে কেএনএফ-এর ফেসবুক পাতা ও ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে যেসব সামরিক ট্রেনিংসহ কার্যক্রমের সচিত্র বর্ণনা দেয়া হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরের কোন ছবি বা ভিডিও নয় বলেই মনে করছে র‍্যাব।”এগুলো আমরা দেখেছি। সম্ভবত এগুলো আমাদের দেশের না। অভিযান যদিও চলছে ও গোয়েন্দারা এগুলো নিয়ে কাজ করছে,” বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে কেএনএফ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলছিলেন র‍্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।কেএনএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নাথান বম এর নাম গণমাধ্যমে এসেছে। র‍্যাব মুখপাত্র বলছেন, এ বিষয়েও গোয়েন্দারা কাজ করছে।র‍্যাবের অভিযোগ, কিছু তরুণকে সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ ও রসদ যোগাচ্ছে এই কেএনএফ। ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকীদেরও আটক করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে র‍্যাব।প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যেই বাড়ি ছেড়ে কথিত হিজরত করতে যাওয়া ৫৫ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে র‍্যাব, যারা “জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া”র সাথে জড়িত বলে বলা হচ্ছে এবং র‍্যাবের দাবি হলো এদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কেএনএফ। সূত্র: বিবিসি বাংলা।