পাঞ্জাবে স্ত্রীর সাথে কারাগারেই যৌন সম্পর্কের সুযোগ

ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের কারাগারে কয়েদিরা এখন থেকে তাদের স্বামী বা স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক (শারীরিক সম্পর্ক) করতে পারবেন।

সম্প্রতি পাঞ্জাব রাজ্য সরকার ভারতের প্রথম কারাগার হিসেবে রাজ্যের টার্ন টারান জেলার গোইন্দাল কারাগারে কয়েদিদের এই সুবিধা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের গোইন্দাল কারাগারে প্রথম এই সুবিধা পেয়েছেন হত্যা মামলার আসামি ৬০ বছর বয়সী গুরজিৎ সিং। তিনি ওই কারাগারে বেশ কয়েক মাস ধরে বন্দী।

কারাগারে স্ত্রীর সাথে ব্যক্তিগত সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে গুরজিৎ সিং বলেন, “কারাগারে একা ও বিষণ্ন হয়ে পড়েছিলাম। স্ত্রীর সাথে কারাগারেই ব্যক্তিগত মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ পাওয়ায় বেশ স্বস্তি বোধ করেছি।”

পাঞ্জাব কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব কয়েদির আচরণ ভালো, প্রতি দুই মাসে দুই ঘণ্টার জন্য তাদের স্বামী বা স্ত্রীর সাথে ব্যক্তিগতভাবে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার কারা কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দেওয়ার পর এক হাজারের বেশি কয়েদি এই সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০০ কয়েদি এই সুযোগ পেয়েছেন।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুনীল সিং বলেন, “ভারতের কিছু রাজ্য, যেমন রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের কারাগারে যেসব কয়েদি ভালো আচরণ করেন, তাদের পরিবারের সাথে কারাগারে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া ‘সন্তান জন্ম’ বা ‘বৈবাহিক সম্পর্ক’ বজায় রাখার জন্য কয়েদিদের ছুটির অনুমতিও দেন আদালত। তবে সারাদেশের পাঁচ লাখের বেশি কয়েদি বছরের পর বছর এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

গত মাসে নতুন কর্মসূচি চালু হওয়ায় কারাগারের ভেতর কয়েদিদের এই ধরনের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে পাঞ্জাব প্রথম ভারতীয় রাজ্য। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ২৫টি কারাগারের মধ্যে তিনটি কারাগারে এই সুবিধা চালু হয়েছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী, ০৩ অক্টোবরের মধ্যে ১৭টি কারাগারে এই সুবিধা চালুর কথা বলা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্য কারাগারগুলো আয়তনে অনেক ছোট এবং একটি শিশুদের জন্য। এই কারণে এইসব কারাগারে এই সুবিধা চালু করা যায়নি।

সারাদিন/২৩ অক্টোবর/এমবি