‘ঘূর্ণিঝড়টি সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত, বাংলাদেশে আঘাত হানবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২২

সিত্রাং পুরোটাই বাংলাদেশে আঘাত হানবে-বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ভারতে কোনো আঘাত হানবে না এই সিত্রাং। এটি সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আবহাওয়াবিদের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় এটি আঘাত হানবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে।

তিনি আরও বলেন, সিত্রাং বাংলাদেশে আঘাত হানবে। ভারতে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা এবং পটুয়াখালী।

প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, সিত্রাং শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সিত্রাং ১৩টি জেলায় মারাত্মক আঘাত হানবে, আর দুটি জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানবে। ১৩টি জেলার মধ্যে রয়েছে, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী। অর্থাৎ চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এটা আঘাত হানবে। চট্টগ্রামের হাতিয়া এবং সন্দীপও ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

সিত্রাং সিডরের মতো ধ্বংসাত্মক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, সিডর ছিল সুপার সাইক্লোন, সিভিয়ার সাইক্লোনের পর আরেকটি স্টেপ রয়েছে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন। তারপর সুপার সাইক্লোন। বাতাসের গতিবেগ আশি থেকে ১০০ কিলোমিটার হলে সেটাকে সিভিয়ার সাইক্লোন বলা হয়। এটা ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন কিংবা সুপার সাইক্লোন হওয়ার মতো আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়াবিদদের মতে সিত্রাং মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে ছয়টার মধ্যে আঘাত হানবে।

Nagad

তিনি বলেন, আম্পান ঝড়ে আমরা ২৪ লাখ ৭৬ হাজার লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছিলাম। এবারে ১৫ জেলায় আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার। ইতোমধ্যে আমাদের মানবিক সহায়তা যা আছে তা পৌঁছে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আমরা তিন বেলা খাবার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।

সিত্রাং বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী এনামুর বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সফলতা হলো ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে এনে তাদের জীবন রক্ষা করা। একটি লোকও যদি মৃত্যুবরণ না করে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় সফলতা। এছাড়া গবাদি পশুগুলোকেও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব আশ্রয়কেন্দ্রে গবাদি পশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।