সিত্রাংয়ের আঘাত: ‘১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও ৯ জনের মৃত্যু’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২২

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ৯ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ঘরের ওপর গাছ পড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি জানান, মহান আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। যেভাবে সিত্রাং সৃষ্টি হয়েছিল, যেসব পূর্বাভাস ছিল, যেভাবে এর বিস্তৃতি ছিল এবং যেভাবে সরাসরি বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছিল- সবাই পূর্বাভাস দিয়েছিল যে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই ছিল, এটা প্রবল বা অতিপ্রবল বা সুপার সাইক্লোন কোনটাতেই রূপ নেয়নি। বাতাসের গতিবেগ ৮০ কিলোমিটারের ওপরে যায়নি। আমাদের যে ঘোষণা ছিল, সেই সময়ের অনেক আগেই অনেক দ্রুত গতিতে সিত্রাং উপকূল অতিক্রম করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের পূর্বাভাস ছিল, এটা বরগুনা ও পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে যাবে। কিন্তু পরে এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন নেওয়ার কারণে পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় সতর্কতার শুরু থেকেই আমাদের মাঠ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করেছেন।

প্রায় ৬ হাজার ৯২৫ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে আনা হয়েছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে রান্না করা ও শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যেহেতু রাত ১০টার পরে অতিক্রম করেছে, আশ্রিত মানুষেরা মধ্যরাত থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করে বাড়িতে যাওয়া শুরু করেন। সকাল হতে হতে সব আশ্রয়কেন্দ্র খালি হয়ে যায়।

Nagad

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝড়ে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য টিন ও নগদ অর্থ দেয়া হবে। আগামীকাল থেকে এ সহায়তা দেয়া শুরু হবে। প্রকৃত ক্ষতির চিত্র জানতে আরও ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এনামুর রহমান বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জে দুইজনকে এ সহায়তা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের সুদহীন ঋণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে দেশে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা তা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৭ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় শেষে মধ্যরাত থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। সকালের মধ্যে সবাই আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করেছেন।