আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২২

ঢাকার ফুটপাত
দিনে চাঁদা ওঠে ৬ কোটি টাকা, নিয়ন্ত্রণে শাসক দলের ২২ জন

ঢাকার সূত্রাপুর থানার শ্যামবাজার থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক হয়ে লক্ষ্মীবাজার পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে এক হাজারের বেশি ছোট চৌকি বসানো, আছে বেশ কিছু রিকশাভ্যানও। এসব চৌকি ও রিকশাভ্যানে কাপড়চোপড়, প্রসাধনী, জুতা, বিছানার চাদর, মশারি, খেলনা, ফলমূল, শরবত, খাবার, গৃহস্থালি জিনিসপত্রসহ নানা ধরনের পণ্য সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। তবে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে চার হাত আয়তনের একেকটি চৌকি বা রিকশাভ্যান বসাতে তাঁদের অগ্রিম দিতে হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর পণ্যের ধরন অনুযায়ী দৈনিক একজন হকারকে দিতে হয় ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। কে বা কারা নেন এই টাকা, এমন প্রশ্নে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুরের ফুটপাতের ফাস্ট ফুড বিক্রেতা সৈয়দ তানভীর জিলানি প্রথম আলোকে বলেন, হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন ‘লাইনম্যান সরদার’ মো. ফিরোজের লোকজন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে লাইনম্যান ও তাঁর সহযোগীরা মারধর করেন, মালামাল ফেলে দেন। ফিরোজ ও তাঁর দলবলের লোকজন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা বলে পরিচয় দেন।বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের তথ্য বলছে, শুধু এই এলাকা নয়, গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, মিরপুর, উত্তরাসহ রাজধানীর ৬৫টি এলাকায় ফিরোজের মতো অন্তত ৩৮ জন লাইনম্যান সরদারের নেতৃত্বে ফুটপাতে হকার বসানো হয়। এসব হকারের কাছ থেকে চাঁদা তোলার জন্য নিযুক্ত আছেন দেড় শতাধিক লাইনম্যান। চাঁদা তোলার জন্য প্রত্যেক লাইনম্যানের সঙ্গে পাঁচ-সাতজন করে সহযোগী থাকেন। সূত্র: প্রথম আলো

পথের বাধাই ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত করছে কর্মীদের

রংপুর শহরের বানিয়াপাড়া উত্তর স্কুল, রাধাবল্লভ এলাকায় বিএনপির প্রয়াত নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ি, স্টেশনের পাশে রবার্টসন এলাকা, শিরিন পার্ক, কেরামতিয়া স্কুল, কামালগাছায় চাদর পেতে বসে আছে নানা বয়সী মানুষ। কেউ গল্প করছে, কেউ ঘুমাচ্ছে, কেউ জুমার নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোথাও দুপুরের রান্না হচ্ছে, কেউ মুড়ি-গুড় খাচ্ছে। এ ছিল গতকাল শুক্রবার দুপুরে রংপুর শহরের চিত্র।গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এসব লোক আশপাশের জেলা থেকে এসে শহরে অবস্থান নিয়েছে। আজ শনিবার শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দেবে তারা। এই সমাবেশকে উদ্দেশ করে ডাকা দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তারা আগেভাগে নিজ জেলা থেকে নানা উপায়ে এসে রংপুরে অবস্থান নেয়। আর গত রাতে এই প্রতিবেদন লেখার সময়-স্তে আস্তে ভরে যাচ্ছিল কর্মী-সমর্থকে। নেতাকর্মীরা বলছিলেন, পথের বাধাই তাঁদের ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত করছে।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার সমাবেশে বাধার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে উত্তরের জেলাগুলোর কর্মী-সমর্থকরা আগেই রংপুরে আসার প্রস্তুতি নেন। স্থানীয় নেতারা জানান, পরিবহন ধর্মঘটের বাধা পেরিয়ে দুই দিন আগে থেকেই রংপুর বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বিশ্বে ভূগর্ভস্থ কয়লার বৃহত্তম মজুদগুলোর অন্যতম জামালগঞ্জ?

বিশ্বে কয়লার সবচেয়ে বড় খনি ধরা হয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইয়োমিংয়ের নর্থ অ্যান্টিলোপ রোশেল কোল মাইনকে। মাইনিং টেকনোলজির তথ্য অনুযায়ী, এখানে কয়লার উত্তোলনযোগ্য মজুদ ১৭০ কোটি টন। বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ কয়লার সবচেয়ে বড় মজুদটি অবস্থিত জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে। ছয় দশক আগে এখানে জরিপ ও অনুসন্ধান চালিয়েছিল জাতিসংঘ ও তত্কালীন পাকিস্তান সরকারের খনিজ সম্পদ বিশেষজ্ঞ দল। সেই সময়ের জরিপের ভিত্তিতে অনুমান করা হয় এখানে কয়লার মোট মজুদ রয়েছে ১০৫ কোটি ৩০ লাখ টন। এরপর ২০১৫ সালে খনিটিতে কয়লা খনির গ্যাস বা কোল বেড মিথেন অনুসন্ধানে ভারতীয় এক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয় পেট্রোবাংলা। মাইনিং অ্যাসোসিয়েট প্রাইভেট লিমিটেড (এমএপিএল) নামে ওই প্রতিষ্ঠানের পরের বছর প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, জামালগঞ্জে কয়লার প্রকৃত মজুদ আগের হিসাবের চেয়েও কয়েক গুণ বেশি হতে পারে, যার সম্ভাব্য মোট পরিমাণ ৫৫০ কোটি টন। এর মধ্যে কতটুকু উত্তোলনযোগ্য তা এখনো নিরূপণ করা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর এক-দশমাংশও (৫৫ কোটি টন) যদি উত্তোলন করা যায়, তাহলেও খনিটি উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ১০ খনির তালিকায় উঠে আসবে। এ তালিকায় বর্তমানে নবম ও দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার গুনিয়েলা রিভারসাইড ও সারাজি খনি। এ দুই খনিতে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ যথাক্রমে ৫৪ কোটি ৯০ লাখ টন ও ৫০ কোটি ২ লাখ টন। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

যে কারণে ৩০ বিলিয়ন ডলারের সৌদি বিনিয়োগের তেমন অগ্রগতি নেই

দেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আগ্রহী হলেও গত ছয়-সাত বছরে সৌদি আরবের অনেক প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন খাতে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলেও তা বাস্তবে কখনো আলোর মুখ দেখেনি। কেবল সুনামগঞ্জের ছাতকে ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে একটি সিমেন্টের কারখানা স্থাপনের প্রকল্পে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। বর্তমানে এ প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে।তবে এ প্রকল্প নিয়েও এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। কারণ সৌদি বিনিয়োগের মাধ্যমে কারখানা স্থাপনের পরও উৎপাদনে যেতে না পারার অনেক উদাহরণ রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিনিয়োগ প্রস্তাব কার্যকর করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংস্থাগুলো ও সংশ্লিষ্ট সৌদি কোম্পানি একমত্যে না পৌঁছাতে পারা ও বাংলাদেশি আমলাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার অভাবে এ প্রস্তাবগুলো ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে।কোনো ব্যাখ্যা না দিয়েই সরকারি সংস্থাগুলো ঘনঘন প্রকল্পবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময়ক্ষেপন করার কারণে সৌদি বিনিয়োগের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সহ আরও কিছু সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা এসব কথার সত্যতা স্বীকার করেছেন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ভাঙনে বিলীন জনপদ
৪৫ বছরে ১ হাজার ৭০০ বর্গ কিমি নদীতে বিলীন, ১৭ লাখ ১৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত

নদী ভাঙনে প্রতি বছর সারা দেশে হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর গতিপথ বদলে পাল্টে যাচ্ছে স্থানীয় মানচিত্র। বসতভিটা, জায়গাজমি সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। একসময়ের অবস্থাপন্ন মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে এখন অমানবিক জীবন যাপন করছে। রাস্তাঘাট, হাটবাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। প্রতি বছর প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে বলে সর্বশেষ জরিপে প্রকাশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় নদীর গতিপথ রুখে দেওয়ার জবরদস্তিমূলক চেষ্টার কারণে দেশের বিভিন্ন নদীতে ভাঙন হচ্ছে। এ ছাড়া অপরিকল্পিত খনন, ড্রেজিং ও বালু তোলার কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছে নদী। ভাঙন রোধে সরকারি প্রচেষ্টায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ভাঙন নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিতদের জবাবদিহির অভাবে এর কার্যকর সুফল পাওয়া যায় না। ফলে বছর বছর বরাদ্দ বাড়লেও ভাঙনকবলিত মানুষ তার সুফল পায় না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

অ্যাপ ছেড়ে ‘খ্যাপে’ কেন বাইকাররা?

”রাইড ক্যান্সেল করে দিন; এই ভাড়াতেই আমি আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি,” ফোন ধরেই বলছিলেন এক বাইক রাইডার।মহাখালী থেকে ধানমণ্ডি যেতে রাইড শেয়ারের একটি অ্যাপে মোটর সাইকেল খুঁজতে গিয়ে এই বিড়ম্বনার কথা জানাচ্ছিলেন মঈদুল মামুন। বেসরকারি এই চাকরিজীবী জানালেন, এর আগে আরেক চালক ফোন ধরার পর গন্তব্য শুনে সেখানে যেতে চাননি। বিরক্তি প্রকাশ করে মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, “অ্যাপে এখন মোটরসাইকেল পাওয়া যায় না। মোড়ে মোড়ে মোটরসাইকেল দাঁড়ানো থাকে; সেখানে দাম-দর করে যেতে হয়।”মামুনের মত বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আগে অ্যাপের মাধ্যমে রাজধানীর যে কোনো জায়গা থেকে যাওয়া যেত গন্তব্যে। এখন রাইড শেয়ারের বাইক পেতে রাস্তার মোড়ে যেতে হয়, যেখানে ‘সিন্ডিকেট’ করে চালকরা অ্যাপের চাইতেও বেশি ভাড়া চাইছেন। তাতে পকেট কাটা তো যাচ্ছেই, সেই সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিও থাকছে। সূত্র: বিডি নিউজ

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস আজ
ডায়াবেটিসের রোগীর স্ট্রোক ঝুঁকি দেড় থেকে দুই গুণ

দেশে স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ব্রেইন স্ট্রোকে মারা গেছেন ৮৫ হাজার ৩৬০ জন, যা আগের বছর (২০১৯ সাল) ছিল ৪৫ হাজার ৫০২ জন। চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিসের রোগীর স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি দেড় থেকে দুই গুণ বেশি।বিশ্বব্যাপী স্ট্রোকের এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২৯ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। স্ট্রোক সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উদযাপিত হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালন করা হচ্ছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘না করলে সময়ক্ষেপণ, স্ট্রোক হলেও বাঁচবে জীবন’। বিষয়ে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. রুমানা হাবিব বলেন, ডায়াবেটিসের রোগীর স্ট্রোক ঝুঁকি দেড় থেকে দুই গুণ বেশি। এই ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণ হলো যে প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর উচ্চ রক্তচাপ থাকে। তাদের কোলেস্টেরল বেশি হওয়ার আশঙ্কা এবং ওজনজনিত সমস্যা থাকার কারণেও আশঙ্কা বেশি। এ ধরনের রোগীর বয়স যদি আবার ৫৫ বছরের বেশি হয় এবং ধূমপান ও অ্যালকোহলের অভ্যাস থাকে, তাহলে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়তে থাকে। সূত্র: ঢাকা পোস্ট।

জামায়াতে ইসলামী: নিবন্ধন প্রত্যাশী নতুন দলের সাথে সম্পর্ক নিয়ে কেন এত আলোচনা

বাংলাদেশে হঠাৎ আত্মপ্রকাশ করা বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা বিডিপি নামের একটি রাজনৈতিক দলের সাথে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক আছে কি না-এই প্রশ্নে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিডিপি নামের দলটির কার্যক্রম আগে জানা না গেলেও এখন নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে।
নতুন এই দলের নেতাদের অনেকে জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় প্রশ্নটি আরও জোরালো হয়েছে।এই নতুন দলের নেতারা অবশ্য পরিচিত কেউ নন।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা বিডিপি নামের নতুন দলটি তাদের ১৫-সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির নামের যে তালিকা দিয়েছে, এই তালিকার বেশিরভাগই জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্র শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।এর মূল যে দু’জন নেতা তাদের মধ্যে দলটির চেয়ারম্যান এ. কে. এম. আনোয়ারুল ইসলাম এক সময় বিএনপি সমর্থক ছাত্রদলে সম্পৃক্ত ছিলেন। সূত্র: বিবিসি বাংল।

উত্তরাঞ্চলে গণপরিবহন বন্ধ
গাড়ি না চললে আমাদের পেটও চলে না

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের অসুস্থ বাছিরন বেগম (৫৬) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ থানা মোড় থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বের হলেও কোনো বাস পাচ্ছিলেন না। আরেক রোগী নুরুল ইসলামও বাস না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্যদিকে, পঞ্চগড় জেলা শহরের ধাক্কামারা এলাকার বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশের পান দোকানদার ফজলুর রহমানের কষ্টটা আরও বেদনাদায়ক। এই দোকান চালিয়েই তাঁর পাঁচজনের সংসার চলে টেনেটুনে। গাড়ি বন্ধ থাকায় তাঁর বেচাবিক্রিও একদম বন্ধ। তিনি বলেন, ‘গাড়ি না চললে হামার পেটও চলিবা নাহায়। বিআরটিসির লোকরাই হামার কাস্টমার। সকাল থেকে বসে আছু।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি করি। আজকে কোনো বেচাবিক্রি নেই।’ফজলুর রহমানের মতো অর্থকষ্টে পড়েছেন পঞ্চগড় বিআরটিসি বাস ডিপোর শ্রমিকরাও। অন্যদিকে, হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় দৈনিক মজুরিতে কর্মরত শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকের বাড়িতে চুলা জ্বালানোর মতো অবস্থা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন বেশ কিছু মোটর শ্রমিক। রংপুর রুটের গাড়িতে কর্মরত হায়দার আলী নামে এক বাস শ্রমিক বলেন, এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশি। কিনতে হিমশিম খেতে হয়। কাজ করি, দিন আনি, দিন খাই। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে। সূত্র: সমকাল

কম দামে দুধ, ডিম ও মাংস পাবেন হতদরিদ্ররা

মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে। করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক মহামন্দার মধ্যেও চাহিদার তুলনায় এসব খাদ্যপণ্য সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে দাম বেশি হওয়ায় আমিষের জোগান দেয়া এসব খাদ্য হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাতে আর উঠছে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মসূচির আওতায় ভর্তুকি দামে দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের কাছে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রির পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এসব খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারীদের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে বৈঠক করে কীভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুমোদনের জন্য তা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, চিনির মতো ‘প্রতিদিন লাগে’ এমন সব খাদ্যপণ্য দরিদ্রদের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করছে সরকার। সূত্র; দৈনিক বাংলা।