প্রস্থ কমিয়ে ধানসিঁড়ি নদী খনন: তদন্ত করে ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২২

ছবি- মুস্তাঈন বিল্লাহ

মূল প্রস্থ কমিয়ে ধানসিঁড়ি নদীর খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে দায়ীদের তদন্ত করে চিহ্নিত করা, সিএস-আরএস রেকর্ড অনুসারে নদীর প্রকৃত সীমানা জরিপ করে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে যেসব অবৈধ কাজ চলছে তা বন্ধ করে এই নদী যেভাবে ছিল সেভাবে খনন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো: সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আদেশ দেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর আদালতে জনস্বার্থে রিট করেন মানবাধিকার ও পরিবশেবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ।

আজ রোববার আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মনজিল মোরসেদ। তিনি আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

Nagad

তিনি বলেন, কবি জীবনানন্দ দাসের ধানসিঁড়ি নদী নিয়ে যে একটি কবিতা লিখেছিলেন সেটি বিখ্যাত নদী। যেটি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সেই নদীটি এক সময় অনেক বড় প্রশস্ত ছিল যার মধ্য দিয়ে জাহাজ চলত, নৌকা চলত। কিন্তু বর্তমানে এই নদীটি দখল করে বাড়িঘর করে নদীটি একদম ছোট করে ফেলা হয়েছে। নরমালি প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা। নদীকে তার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া। এ বিষয়ে একটি মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই নদীটি অত্যন্ত ছোট করে নালার মতো করে নদীটাকে খনন করা হয়েছে। খনন করে আশপাশে যারা আছে তাদেরকে বসবাসের একটি সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটি রিপোর্ট হওয়ার পরে হিউম্যান রাইডস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি রিট করা হয়েছিল গত ২৫ অক্টোবর। শুনানি শেষে আজ আদালত এ আদেশ দিলেন।

সারাদিন/৩০ অক্টোবর/এমবি