বাংলাদেশে গোলা পড়ায় মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২২

মিয়ানমারে গত তিন মাস ধরে চলা সংঘর্ষের প্রভাব বাংলাদেশে পড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার।

রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের প্রধান বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ ইফতেখার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার সকাল ১০টায় টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাট সংলগ্ন বিজিবির সোদান রেস্ট হাউসে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠক চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

জানা যায়, সীমান্তের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রভাব বাংলাদেশে পড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার। উত্তেজনা কমিয়ে আনতে এবং অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচাররোধে একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে চলে এ বৈঠক।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে টেকনাফ এসে পৌঁছায় মিয়ানমারের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এ সময় টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে তাদের স্বাগত জানানোর পর শাহপরীর দ্বীপ বিওপিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পতাকা বৈঠকে মিলিত হয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী।

মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন মিয়ানমার মংডুর ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল কাও না ইয়ান শো। আর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।

বিজিবি জানিয়েছে- রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাহপরীর দ্বীপে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও মিয়ানমার মংডুর ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাও না ইয়ান শো-এর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Nagad

গত আগস্টে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও রাখাইন প্রদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরবর্তীকালে গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমারের ছোড়া দুটি মর্টারশেল এসে পড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। ওই সময় সীমান্তে গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনায় একাধিকবার মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় গত ১০ অক্টোবর পরিস্থিতি দেখতে সীমান্ত পরিদর্শনে যান বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। সেই সঙ্গে তিনি জানান, প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিপির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।