সাংবাদিক ফতেহ ওসমানী হত্যায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন

সিলেট সংবাদদাতাসিলেট সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

১২ বছর পর সিলেটে সাংবাদিক ফতেহ ওসমানী হত্যা মামালায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আসামিদের পাঁচ হাজার জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে সিলেটের বিশেষ জেলা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী এস এম আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- সুনামগঞ্জ সদর থানার মঙ্গলকাটা বাজার এলাকার দুর্লভপুর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে নগরীর ইলাশকান্দি আলতু মিয়ার কলোনীর বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন উরফে টাইগার সাদ্দাম (২২), জৈন্তাপুর থানার আদর্শগ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো: কাশেম আলী (২২), সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার আমতলী গ্রামের রাজন মিয়ার ছেলে শাহপরান থানার টুলটিকর এলাকার বাসিন্দা সুমন (২২), নগরীর আরামবাগ ১৩ নং বাসার সিরাজ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া (২৫), কিশোরগঞ্জ সদর থানার নগুয়া গ্রামের আজিজুর রহমান উরফে আব্দুল আজিজের ছেলে শাহপরান থানার বটেরতল বাবু মিয়ার কলোনীর বাসিন্দা মো: ফয়ছল আহমদ রাসেল (২৩) ও সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার ভাটিপাড়ার (গণকা) জাহান নুরের ছেলে বর্তমানে উত্তর বালুচর আল-ইসলাহ্ বাসিন্দা শাহ আলম (২৪)।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি মো: কাশেম আলী ছাড়া সব আসামি পলাতক ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল রাতে সাংবাদিক ফতেহ ওসমানী তার বন্ধু আব্দুল মালেককে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ শাহ মীর (র:) মাজারের সামনের রাস্তায় পৌঁছালে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। এ সময় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ফতেহ ওসমানী ও তার বন্ধু আব্দুল মালেক আহত হন। ২৮ এপ্রিল রাতে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

Nagad

এই ঘটনায় নিহত ফতেহ্ ওসমানীর ছোট ভাই আল-ফরহাদ মতিন বাদী হয়ে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী সাদ্দাম ওরফে টাইগার সাদ্দাম ও কাশেমের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮/১০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

ফতেহ ওসমানী মারা যাওয়ার পর পুলিশ মামলাটিতে ৩৯৬ ধারাটি যুক্ত করে। পরে দুই দফা তদন্ত শেষে প্রথমে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাহারুল ইসলাম ও পরে এয়ারপোর্ট থানার এসআই আব্দুল আলীম মামলার সম্পূরক চাজর্শিট দাখিল করেন।

সারাদিন/৩১ অক্টোবর/এমবি