ঢাকায় ‘ইনোভেশন ডে’ আয়োজন করেছে স্নাইডার ইলেকট্রিক

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২২

এনার্জি ম্যানেজমেন্ট এবং অটোমেশন ট্রান্সফরমেশনের গ্লোবাল লিডার স্নাইডার ইলেকট্রিক সম্প্রতি ইলেকট্রিসিটি ৪.০ কনসেপ্টকে পরিচিত করাতে ঢাকায় আয়োজন করেছে ‘ইনোভেশন ডে’। সরকারি কর্মকর্তা, গ্রাহক, চ্যানেল পার্টনার এবং পরিবেশকরা এই আয়োজন অংশ নেন। ভবিষ্যতের একটি টেকসই নেট-জিরো পাওয়ার সল্যুশন এবং প্রযুক্তির বিভিন্ন ফিচারগুলো দেখানো হয় আয়োজনে।

ইলেকট্রিসিটি ৪.০ হলো অল-ইলেকট্রিক এবং অল-ডিজিটালের সমন্বয় যা এনার্জিকে পরিষ্কার, সবুজ এবং টেকসই করা। ইলেট্র্রিফিকেশন এনার্জিকে সবুজ করে তোলে এবং ডিজিটাল এনার্জিকে স্মার্ট এনার্জিতে পরিণত করে, তাই ইলেকট্রিসিটি ৪.০ হলো আরও টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের এনার্জির সমাধান। স্নাইডার ইলেকট্রিকের ইনোভেশন ডে আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল গ্রাহকদের জন্য একটি সহযোগী প্ল্যাটফর্ম দেয়া, পাশাপাশি শিল্পের সর্বশেষ প্রযুক্তি প্রবণতাগুলো দেখানো। ভবিষ্যতে জিরো কার্বন নিঃসরণের যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি, ইনোভেশন ডে আয়োজন ডিজিটাল সেই টেকসই পদ্ধতি গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করবে।

স্ন্যাইডার ইলেকট্রিক ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের জোন প্রেসিডেন্ট, ইন্ডিয়া, অ্যান্ড সিইও এবং এমডি অনিল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে ক্রমাগত একটা উপস্থিতি বাড়াতে চাই এবং আমরা চাই সামনের দিনে একটা টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে। আমরা গত ২০ বছর থেকে বংলাদেশে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছি এবং সেই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি,বাসাবাড়ির জন্য সোল্যার ইলেকট্রিফিকেশনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছি। এনার্জি ইফিসিয়েন্সি হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। ভবিষ্যৎ সমীকরণ খুব সহজ। বাংলাদেশের প্রয়োজন হবে ডিজিটাল ইফিসিয়েন্সি, ডিকার্বনাইজেশনের জন্য ইলেকট্রিক এবং টেকসই স্মার্ট ও একটি গ্রিন এনার্জি। আমরা ডিজিটাল রূপান্তরের এই পথচলায় পছন্দের প্রথম অংশীদার হতে চাই।’

স্নাইডার ইলেকট্রিক বাংলাদেশের পরিচালক, জেনারেল ম্যানেজমেন্ট জহির আহমেদ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল এবং স্থায়িত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যুতের মাথাপিছু ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭% ধরে রেখেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট এনার্জির প্রয়োজন হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, বিদ্যুতের খরচে এই বিশাল উল্লম্ফন গ্রিন এবং নির্ভরযোগ্য, এবং আমরা এই যাত্রায় আমাদের অংশীদার ও গ্রাহকদের ক্ষমতায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছি।’

বাংলাদেশের উৎপাদন খাত ক্রমাগত বেড়েই চলেছে এবং দেশে একটি শক্তিশালী শিল্পপ্রবৃদ্ধি ঘটছে, যা এনার্জির চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। এনার্জির চাহিদা মেটাতে এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে, নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল এবং টেকসই রূপান্তর প্রয়োজন। বিষয়টি মাথায় রেখে, বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেকের এনার্জির অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। গত কয়েক বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে।

Nagad