৭ উইকেটে জিতে ফাইনালে পাকিস্তান

খেলাধুলা ডেস্কখেলাধুলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৩৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে সাত উইকেটে জিতে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৫৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

বুধবার (০৯ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথমে ব্যাট করে নিউজ়িল্যান্ড ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তোলে। ড্যারিল মিচেল অর্ধশতরান করেন।

জবাবে মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজমের জোড়া অর্ধশতরানের সৌজন্যে সাত উইকেট বাকি থাকতে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান।

১৫৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ফিরতে পারতেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ ফেলে দেন ডেভন কনওয়ে। জীবন পাওয়ার পর ১০৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে পাকিস্তান।

১৩তম ওভারে বাবর আজম ফিরলে সেই জুটি ভাঙে। ৭ চারে ৪২ বলে ৫৩ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন বারব। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৪৩ বলে ৫৭ রান করে তিনিও শিকার হন বোল্টের বলে। কিন্তু এই দু’জনের বিদায়েও জিততে তেমন সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। ২৬ বলে ৩০ রান করেন মোহাম্মদ হারিস।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে সেমিফাইনালের সমীকরণ কঠিন করে ফেললেও ফাইনালে খুব সহজেই পৌঁছে গেলো পাকিস্তান।

Nagad

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে চার মেরে দারুণ কিছুর আভাস দেন ফিন অ্যালেন।

এর আগে সিডনি গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৫২ রানে আটকে যায় নিউজিল্যান্ড। ওপেনার ফিন অ্যালেনকে (৪) শুরুতেই ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। কেন উইলিয়ামসনের সাথে ৩৪ রানের জুটি গড়া ডেভন কনওয়ে রান আউট কাঁটা পড়েন। তিনি খেলেন ২০ বলে ২১ রানের ইনিংস। রান পাননি ‘বিধ্বংসী ব্যাটার’ গ্লেন ফিলিপস। তবে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ও মিডল অর্ডার ব্যাটার ডার্লি মিশেল ৬৮ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন।

সাবলীলভাবে রান তুলতে না পারা কিউই অধিনায়ক ৪২ বলে একটি করে চার এবং ছক্কায় ৪৬ রান করে ফিরে যান। মিশেল ৩৫ বলে তিনটি চার এবং এক ছক্কায় ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। জেমি নিশান ১২ বলে করেন ১৬ রান।

এর আগে ২০০৭ এবং ২০০৯ আসরে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। ২০০৭ সালের আসরে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই ফাইনালের টিকেট পেয়েছিল তারা। পরেরবার ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো পাকিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৫২/৪ (অ্যালেন ৪, কনওয়ে ২১, উইলিয়ামসন ৪৬, ফিলিপস ৬, মিচেল ৫৩, নিশাম ১৬; আফ্রিদি ৪-০-২৪-২, নেওয়াজ ২-০-১২-১, শাদাব ৪-০-৩৩-০, হারিস ৪-০-৩২-০, নাসিম ৪-০-৩০-০)।

পাকিস্তান: ১৮.১ ওভারে ১৫৩/৩(বাবর ৫৩, রিজওয়ান ৫৭, হারিস ৩০, শান মাসুদ ৩, ইফতেকার ০ ; ইশ শোধি ৪-০-২৬-০, বোল্ট ৪-০-৩৩-২, সাউদি ৩.১-০-২৪-০, স্যান্টনার ৪-০-২৬-১, ফার্গুসন ৪-০-৩৭-০)।

ফল: ৭ উইকেটে জয়ী পাকিস্তান।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ রিজওয়ান।

সারাদিন/০৯ নভেম্বর/এমবি