প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি, জড়িত শিক্ষকদের চিহ্নিত: ডা. দীপু মনি
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বিষয় আনার ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের চিহ্নিত করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে ‘৭১ এ গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি চাই’ আলোচনা সভায় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী এ কথা বলেন।


মন্ত্রী বলেন, আমরা কাদের প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব দিচ্ছি, সেটা দেওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সব বোর্ডগুলোকে আরও সতর্ক হতে হবে। আমাদের সিস্টেমে সেটা আরও ভালো করতে হবে।
এর আগে, ২০২২ সালের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্নের পেছনে জড়িত পাঁচ শিক্ষককে চিহ্নিত করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের অভিযুক্ত শিক্ষকদের নাম ও পরিচয় জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল বাংলা প্রথম পত্রের বিতর্কিত প্রশ্নটি করেছেন। প্রশ্নটির মডারেশেন (পরিশোধনকারী) করেছেন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
ভবিষ্যতে এমন যেন কিছু না হয় সেই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন প্রশ্নের পুরো প্রক্রিয়া যেভাবে সেট হয় তা হচ্ছে প্রশ্ন একজন সেট করেন; আর একজন মডারেট করেন। এরপর কিন্তু পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এটা আর কারও দেখবার সুযোগ থাকে না।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্নকর্তা ও প্রশ্ন মডারেট যারা করেন তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নির্দেশিকা দেওয়া হয়। তারপরেও কেউ যদি এটা করেন সেটা চরম অবহেলা অথবা ইচ্ছাকৃত।
উল্লেখ্য, এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্ন করা হয়। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়।