সাহিত্যিককে ‘হেয়’ করে প্রশ্ন করায় তদন্তে কমিটি গঠন

চলমান উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নে সাহিত্যিক আনিসুল হককে হেয় করাসহ বিভিন্ন বৈষম্যমূলক উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড (বাকাশিবো)। কমিটিকে পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, বোর্ডের পরিদর্শক খালেদ হোসেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ (ডিপ্লোমা) মোহাম্মদ শাহিন কাওসার সরকার।

কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: আলী আকবর খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নে একজন খ্যাতিমান সাহিত্যিককে এভাবে হেয় করা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।

আলী আকবর খান বলেন, এই কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদনে জমা দিতে বলা হয়েছে। এটি আসলে একটা মানহানিকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব বোর্ডে কেন এই ধরনের কাজ করছে, কী কারণে করছে সেটি জানা দরকার। এজন্য আমি খুবই দুঃখিত। প্রশ্ন আসলে বোর্ডের পক্ষে দেখা সম্ভব হয় না। শিক্ষক প্রশ্ন প্রণয়ন করার পর মডারেটররা সেটি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করেন। শিক্ষকরা শিক্ষিত মানুষ হয়ে অশিক্ষিত কাজ করছেন, এটি দুঃখজনক। তবে দ্রুত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ০৬ নভেম্বর (রোববার) কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি দ্বিতীয়পত্রের একটি সৃজনশীল প্রশ্নে উদ্দীপকে একজন লেখকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “২১ শে বইমেলায় তাড়াহুড়ো করে তিনি বই প্রকাশ করেন। পাঠকদের কাছে তার লেখা খাপছাড়া মনে হয়। ফলে পাঠকদের কাছে তিনি সমাদৃত হন না।” এছাড়া একই প্রশ্নপত্রে একজন নারীকে অবজ্ঞা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্রের একটি প্রশ্নে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নিয়ে বিতর্ক হয়। এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি তদন্ত করবে শিক্ষা বোর্ড।

সারাদিন/১৩ নভেম্বর/এমবি