‘ফারদিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা, মাদক সংশ্লিষ্টতার প্রশ্নই আসে না’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২২

সংগৃহীত ছবি-

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে পরিকল্পিতভাবে হত‌্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন।

তিনি বলেন, ফারদিনের মাদক সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে মিথ্যা নিউজ করার মানে হলো সুষ্ঠু-তদন্ত কার্যক্রমকে ব্যাহত করা এবং ফারদিনের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছিল তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া। তাদের নৈতিক মূল্যবোধে আঘাত করা। যে রিপোর্ট করেছে বা মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে কেউ কখনই দেখাতে পারবেন না সেদিন মোবাইলটি ফারদিন ব্যবহার করেছে কি না।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বুয়েটের শহীদ মিনারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ দাবি করেন। মানববন্ধনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ফারদিন হত‌্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্তের দাবি জানান।

ফারদিনের বাবা বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা রাখছি। কারণ আমার সন্তান কারও শত্রু নয়। এমন কী, আমার পেশাগত জীবনেও কোনো শত্রু তৈরি করিনি। র‌্যাব, ডিবি, পিবিআইয়ের ওপর আস্থা রাখতে চাই। তারা তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করবেন বলে আশা করি। তারা আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়েছেন তবে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট জানায়নি।

সন্তান নিখোঁজের পর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে ফারদিনের পরিবার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, জিডির ৪৮ ঘণ্টা পরেও পুলিশ জিডির তদন্ত বা কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট পাইনি। লাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত থানার কার্যক্রমে আমরা খুশি না।

ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে আসামি করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর সর্বশেষ বুশরার সঙ্গে দেখা যায়। তাই তাকে আসামি করা। আমার সন্তান বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ে মায়ের কাছে যে গন্তব্যের কথা বলে বের হয় এর বাইরে কখনও যায়নি। তার বুয়েটে আসার কথা ছিলো। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, বুশরার সঙ্গে কেনো তাকে এতো সময় কাটাতে হলো। যার পরদিন পরীক্ষা তার রাত ১০টা পর্যন্ত বাইরে থাকার কথা নয়।

Nagad

উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।