‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে মাথাব্যথা নেই, নৈরাজ্য হলে উপযুক্ত জবাব’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২২

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি যদি আগামী ১০ ডিসেম্বর জনসভার নামে কোন ধরনের সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য বা ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নেয় তবে অবশ্যই দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী তার উপযুক্ত জবাব দিবে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই। আমরা কিছু বলবো না। আমরা এটা নিয়ে চিন্তাও করি না। কিন্তু সেদিন যদি তারা জনসভার নামে কোন ধরনের সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য বা ধ্বংসাত্মকমূলক পথ বেছে নেয় তবে অবশ্যই দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী তার উপযুক্ত জবাব তাদের দিবে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য। আওয়ামী লীগ তাদের কোন অপকর্মকে মেনে নিবে না।’

আজ বিকেলে শ্রীনগর স্টেডিয়ামে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে ভালোবেসে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সব সময় কাজ করে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন দেশের মানুষ দ’ুমুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকুক। এর জন্য তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশকে দারিদ্র মুক্ত করার সব সময় চেষ্টা করেছেন। কিন্তু খুনির দলেরা তা মেনে নিতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশকে উন্নত সম্বৃদ্ধ রাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে সারা বাংলাদেশে ধ্বংসলীলা ও তান্ডব চালিয়েছিল। সারা দেশে তারা লুটপাট করেছিল। ধ্বংস করে দিয়েছিল পুরো দেশের অবকাঠামোকে। তারা বহু নারী ও শিশুকে ধর্ষণ করেছে। তারা মন্দির উপাসনালয়ের জায়গা, এমনকি মসজিদে হামলা করেছে। তারা এখনো ধ্বংস হয়নি, এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষডযন্ত্র করছে। তাদের অপকর্মের রাজনীতি এখনো চলছে। তারা এখনো দেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চায়। এর জন্য তারা সকল ষডযন্ত্রই চালিয়ে যাচ্ছে।

নাছিম বলেন, বিএনপি বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। তারা এখনো হাওয়া ভবনের কুখ্যাত গডফাদারকে দেশে আনতে চায়। বিএনপি লুটপাট চোরাকারবারি ও বিদেশী অর্থ পাচারকারীদের দল। যারা দেশের অর্থনীতি ভেঙে দিয়েছিল তারা এখন আবার নতুন করে হুংকার দিচ্ছে। এদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই খুনিদের কাছে কখনো বাংলাদেশকে ছাড়া যাবেনা। এদের মোকাবেলা করতে হবে।

Nagad

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিএনপির সকল কর্মকান্ডকে প্রতিহত করতে হবে। এরা ২০১৩-১৪ সালে হরতালের নামে সারাদেশে পেট্রোল বোমা মেরে বহু মানুষকে হত্যা করেছে। এদের কাছে সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়। এদের পেট্রোল বোমা থেকে ছোট শিশু এমনকি নারীরাও রেহাই পায়নি। আন্দোলনের নামে এরা নিরপরাধ শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এরা গবাদি পশুবাহী ট্রাকে পর্যন্ত বোমা মেরে পশুদের হত্যা করেছে। এদের যে কোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল-মাহমুদ বাবু ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ তাজুল ইসলাম পিন্টু এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম. আফজালুর রহমান বাবু, আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাফিউল করিম নাফা।