‘ঢাকার সমাবেশটা হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশ, এটা চূড়ান্ত সমাবেশ নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২২

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-বলেছেন, ঢাকার সমাবেশটা হচ্ছে আমাদের একটা বিভাগীয় সমাবেশ। আমরা যে ১০ বিভাগকে কেন্দ্র করে বিভাগীয় শহরে সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিলাম, সেই সমাবেশগুলোর লাস্ট সমাবেশটা হচ্ছে ঢাকায়। ঢাকার এই সমাবেশ থেকে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি, পরবর্তী দাবিদাওয়াগুলো নিয়ে আরো বৃহত্তর আন্দোলন নিয়ে আমরা সামনে আসব। এটা তো চূড়ান্ত সমাবেশ নয়, চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি নয়। এটা হচ্ছে আমাদের স্বাভাবিক বিভাগীয় গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর)সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

এসময় তিনি বলেন, ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে সরকার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ঢাকার সমাবেশকে বানচাল করতে মুন্সীগঞ্জে আমাদের নিরীহ লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে শহীদুল ইসলাম শাওনকে হত্যা করে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মুন্সীগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতনকে আটক করে রাখা হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রফিক হাওলাদার, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আলী আকবর চুন্নুসহ ৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের নেতা-মন্ত্রীরা প্রমাদ বকছে। গণভিত্তি না থাকলে যেটা হয়, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে যেটা হয় আর কি। প্রতি মুহূর্তে এরা নাইট মেয়ার দেখে, দুঃস্বপ্ন দেখে। এই মুহূর্তে বুঝি গেল গেল, আমার সব গেল। এই ভয়ে-আতঙ্কে তারা এখন রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রকে ব্যবহার করে হুমকি দিচ্ছে আবার। ছেড়ে দেওয়া হবে না, করতে দেওয়া হবে না, দেখে নেওয়া হবে।

ফখরুল বলেন, আরে তোমরা কি গুণ্ডাবাহিনীর সর্দার? তোমরা কি মাফিয়ার সর্দার? তাহলে ঘোষণা করো আমরা তাই। তাহলে আমরা তোমাদের রাজনৈতিক দলের মধ্যে রাখব না, গণতান্ত্রিক দলের মধ্যে চিন্তা করব না। গত ১৫টা বছর রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা সেইভাবে ব্যবহার করে এ দেশের মানুষের অধিকারগুলোকে হরণ করেছে।

Nagad

‘হেফাজতের পরিণতি হবে বিএনপির’- ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের এ রকম বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, সেই অবস্থা এখন আর নেই। আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, হেফাজতের সময়ে তারা যেটা করেছে এখন জনগণের সঙ্গে সেটা তারা করতে পারবে না। কারণ জনগণ তাদের জায়গায় দাঁড়িয়ে গেছে এবং জনগণ যেকোনো মূল্যে এবার তাদের দাবি আদায় করে ছাড়বে। এইটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমরা এমন কোনো কর্মসূচি নেব না যে কর্মসূচিতে জনগণের কষ্ট হবে। আমরা জনগণকে নিয়ে জনগণের দাবিগুলো বাস্তবায়নে আন্দোলন করে যাব।

রিজার্ভ সংকট প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রিজার্ভের কথা এত বলে কেন? কারণ ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। তারা রিজার্ভের টাকা বের করে নিয়ে গেছে। রিজার্ভের সেই টাকা দিয়ে বিদেশে বিভিন্ন কৌশলে বাড়ি-ঘর এসেট তৈরি করেছে।’

শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে দুর্ভাগ্যক্রমে ক্রিকেটার সাকিবের নামও যুক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক রথি মহারিথরা শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। ব্যাংক তো শেষ। বার বার সেন্ট্রাল ব্যাংক বলছে, না ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই। না থাকলে তাকে স্টেটমেন্ট দিতে হবে কেন? মানুষ ভয় পাচ্ছে কেন? কারণ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন জায়গায় চলে গেছে, মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে সাহস পাচ্ছে না। ওখান থেকেই টাকা চুরি হয়ে যেতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিভাগীয় সমাবেশে বাধা প্রদান, নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-অত্যাচার, গ্রেপ্তার, মামলা-হামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

সারাদিন. ১৭ নভেম্বর