‘বিএনপির সমাবেশের জায়গা নির্ধারণ করবেন ডিএমপি কমিশনার’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০২২

সম্প্রতি দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বিএনপির ধারাবাহিক গণসমাবেশ চলছে। সেই হিসেবে ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ হওয়ার কথা আগামী ১০ ডিসেম্বর। এই সমাবেশের স্থান কোথায় হবে, তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার নির্ধারণ করবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, তারা একটি রাজনৈতিক দল, সবকিছু মেনেই তারা মিটিং করবে। তারা যদি আইন ভাঙে, জানমাল নষ্ট করে বা জ্বালাও-পোড়াও করে, তাহলে নিরাপত্তাবাহিনী যা করার তাই করবে।

রোববার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

এ সময়, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি পালানোর সহযোগিতায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এ ঘটনাটি দুঃখজনক বলে আমরা মনে করি। যদি কারো অবহেলা থাকে, যদি কারো গাফিলতি থাকে, যদি কেউ ইচ্ছে করে এ কাজটি ঘটিয়ে থাকেন আমরা তার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নিশ্চয়ই এটার তদন্ত কমিটি আমরা করবো এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমরা রেড এলার্ট জারি করেছি। যাতে তারা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে। আমাদের পুলিশ তাদের খুঁজছে। আশা করি খুব শিগগিরই তাদের ধরতে পারবো। আমরা বর্ডার এলাকাগুলোতেও বলে দিয়েছি, তারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিচারের মাধ্যমে দুই জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তাদের এনে কোর্ট হাজতে রাখা হয়েছিল। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে প্রডিউস করার পর তাদের আবার নির্দিষ্ট রুমে নেওয়া হচ্ছিল। তখন আমরা জানলাম, যে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন তাদের মুখে স্প্রে করে জঙ্গিরা পালিয়ে যান। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা রেড অ্যালার্ট জারি করেছি।

Nagad

আসাদুজ্জামান খান বলেন, এটা নিয়ে নিশ্চয়ই আমরা তদন্ত কমিটি করব। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। সচিব, কারা মহাপরিদর্শক, ডিএমপি কমিশনার সবাই এটা নিয়ে মিটিং করছেন। আমরা খুব সহসাই পরবর্তী নির্দেশনা জানাব।

নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলা দিয়ে ধরা হচ্ছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গায়েবি মামলা কাকে বলে এটা আমি জানি না। আমরা জানি ঘটনা ঘটলে, ভাঙচুর করলে, লোক হত্যা করলে, জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি হলে মামলা হয়। যাদের ধরা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট নামে অভিযোগ আছে বলেই মামলা হয়।

‘বিএনপি যে আন্দোলন সংগ্রাম করছে এখানে বিদেশি অর্থায়ন হচ্ছে’- ভারতের নয়াদিল্লিতে দু’দিনের ‘নো মানি ফর টেরোর মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফারেন্সে’ এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট করে এরকম আলোচনা হয়নি। আলোচনা যেটা হয়েছে, তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে আমরা যেটা চাইবো যেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আমরা সবসময় বলে আসছি দেশে জঙ্গিদের কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশের মানুষ কোনো জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। আমরা সেই বিষয়টিই তাদের কাছে তুলে ধরেছি। সেটাই আমাদের আলোচনার মধ্যে এসেছে।