‘ডিজিটাল দক্ষতা ছাড়া উন্নত জীবন তৈরি করা সম্ভব হবে না’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করা ছাড়া বর্তমান পৃথিবীতে শত চেষ্টা করেও উন্নত জীবন তৈরি করা সম্ভব হবে না। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে প্রচলিত শিক্ষাকে ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর করা অপরিহার্য। তিনি শিক্ষার্থীসহ নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) ঢাকায় ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ মন্ত্রী মিশ্র শিক্ষা পদ্ধতিকে করোনা পরবর্তী সময়ের এক্সারসাইজ উল্লেখ করে বলেন, অনলাইন শিক্ষা প্রসারিত না হলে দুর্যোগে বিপদ অনিবার্য। বাংলাদেশ করোনাকালে শিক্ষাসহ জীবনযাত্রা সচল রাখতে যে সফলতা দেখিয়েছে তা উন্নত দেশেও করতে পারেনি। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের ফসল।
মন্ত্রী বলেন, অতীতে প্রথম ও দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব আমরা সম্পূর্ণভাবে মিস করেছি এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত কর্মসূচির ফলে আংশিকভাবে শরীক হতে পেরেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির পথ বেয়ে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশ শিল্পোন্নত দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে আজ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের পথে হাঁটছে। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর সুদীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিছিয়ে পড়া জাতিকে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জন, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাড়ে ১৮ বছরের শাসনামলে সেই বীজটিকে চারা গাছ থেকে আজ তা মহি রূহে রূপ দিয়েছেন। প্রযুক্তিতে শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৩৮৪০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। মন্ত্রী শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে ড্যাফোডিলের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং অন্যরাও ড্যাফোডিলের পথে এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ কেএম হাসান রিপন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. এম লুৎফর রহমান এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক ড. ওমর ফারুক বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
সারাদিন. ২১ নভেম্বর. এসআর