আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২২

এফএওর প্রতিবেদন
বিশ্বে চাষের মাছে এখন তৃতীয় বাংলাদেশ
চাষের মাছ উৎপাদনে দুই ধাপ এগোল বাংলাদেশ। স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয় স্থান।

স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে এবারও বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে। আর চাষের মাছে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। চাষের মাছের উৎপাদনে ছয় বছর ধরে পঞ্চম অবস্থানে ছিল। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার–২০২২’ বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বের সব দেশের ২০২০ সালে উৎপাদিত মাছের হিসাব নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনটি গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন ছিল ৪ লাখ ৪০ হাজার টন। ২০২০ সালে তা ১২ লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে, যা বিশ্বের মোট মাছ উৎপাদনের ১১ শতাংশ। বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত ও চীন। ভারতে ১৮ লাখ টন ও চীনে ১৪ লাখ ৬০ হাজার টন স্বাদুপানির মাছ উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের পরে রয়েছে মিয়ানমার, উগান্ডা ও ইন্দোনেশিয়া। সূত্র: প্রথম আলো

পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ঠিক রেখে বিশ্বমানের সমুদ্র পর্যটন

দেশের সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনকে বিশ্বমানে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে টেকসই সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে।বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এই নীতিমালার খসড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।তাদের মতামত পাওয়ার পর শিগগিরই এই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।র্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অবকাশযাপনের উদ্দেশ্যে প্রমোদতরিতে সমুদ্রের নির্দিষ্ট পথে যাত্রা এবং সমুদ্রতীরবর্তী পর্যটন আকর্ষণ উপভোগ করাই হচ্ছে সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন। সুনীল অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত এই সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন। বঙ্গোপসাগরে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার উপকূলীয় সমুদ্রসীমা, উপকূলীয় নদী এবং নদীর মোহনা, দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনসহ সব মিলিয়ে দেশের সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরো বিস্তৃত করেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

পাতালরেলের কাজ শুরু ডিসেম্বরে

দেশের প্রথম পাতালরেলের (মেট্রোরেল লাইন-১) মূল কাজ শুরু হচ্ছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে। যোগাযোগের সুবিধার্থে এ লাইনটি মাটির নিচ দিয়ে সরাসরি যুক্ত হবে নির্মাণাধীন বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে। এ লাইনের ট্রেনে চেপে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে যেতে সময় লাগবে মাত্র ২৪ মিনিট। এ প্রকল্পের মূল কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে কাল ২৩ নভেম্বর। ডিপো নির্মাণের কাজ উদ্বোধনের মাধ্যমে আগামী মাসেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২৩ নভেম্বর মেট্রোরেল লাইন-১-এর ডিপো নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে এ প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিসেম্বরের যে কোনো দিন মূল কাজের উদ্বোধন করা হবে। আশা করা হচ্ছে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থার নতুন এক অধ্যায় শুরু হবে। কেননা এটিই হবে দেশের প্রথম পাতালরেল। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

ডিসেম্বর থেকে নতুন মূল্য কার্যকর
পাইকারি বিদ্যুতের দাম ২০ ভাগ বাড়ল
সোমবারই বিইআরসিতে গ্রাহক পর্যায়েও দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব * বাল্কে ইউনিটপ্রতি বাড়ল ১ টাকা ৩ পয়সা

বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ল ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। ইউনিটপ্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে আগামী ডিসেম্বর থেকেই নতুন দাম পরিশোধ করতে হবে। সোমবার অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই আদেশ দিয়েছে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এই দাম পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দাম বাড়ানোর পরও বিদ্যুতের উৎপাদন পর্যায়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার।এদিকে সোমবার বিকালেই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্টজোন। আরও ৫টি কোম্পানি আজ-কালের মধ্যে প্রস্তাব জমা দিবে। তারা দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব তৈরির কাজ করছে বলে জানা গেছে। তারা বলছে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করতে পারব না। কাজেই খুচরাতে দাম বাড়াতেই হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বলছে, সব প্রস্তাব হাতে পেলে যাচাই-বাছাই করে গণশুনানি করা হবে।বিতরণ কোম্পানি ওজোপাডিকোর এক কর্মকর্তা জানান, জমা দেওয়া আবেদনে ২০ ভাগ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তারা। মূলত পাইকারি দাম বাড়াতে খুচরা বিদ্যুৎ বিক্রির প্রভাব বিবেচনা ক রে এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। খুলনা, বরিশালসহ দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে কোম্পানিটি।ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘আমরা এখনও আবেদন করিনি। কিন্তু আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানা যায়। সূত্র: যুগান্তর

পোশাকের রফতানি গন্তব্য পরিবর্তনের সুপারিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

বিশ্ববাজারে ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থমূল্যের পণ্য গত অর্থবছরে রফতানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে, যার প্রায় ৮২ শতাংশই ছিল তৈরি পোশাক। আবার রফতানি হওয়া পণ্যের ৬৪ দশমিক ৬১ শতাংশই গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে। একক পণ্য ও দুটি গন্তব্যের ওপর নির্ভরতা এখন বড় ধরনের অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছে দেশের রফতানিকারকদের। কারণ বাংলাদেশী পোশাকের প্রচলিত বাজারগুলো এখন অর্থনৈতিক মন্দায় প্রবেশ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, দেশের পোশাক খাত টেকসই করতে নতুন গন্তব্য দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের এক্সটার্নাল ইকোনমিকস শাখা থেকে নিয়মিতভাবে প্রকাশ পায় তৈরি পোশাকের প্রান্তিক পর্যালোচনা শীর্ষক প্রতিবেদন, যার জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২২-২৩ সংস্করণ প্রকাশ পেয়েছে চলতি সপ্তাহে। প্রতিবেদনটিতে নতুন রফতানি গন্তব্যের বিষয়টিতে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতির অন্যতম অবলম্বন তৈরি পোশাক এখন মন্থর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০২১-২২ অর্থবছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের চেয়ে রফতানি কমেছে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। বেড়েছে জীবনযাপনের ব্যয়। প্রধান রফতানি গন্তব্যগুলোর জনগোষ্ঠী বাধ্য হচ্ছে পোশাক কেনা বাবদ ব্যয় কমিয়ে আনতে। সূত্র: বণিক বার্তা।

‘খেলা হবে’ বাহাসে সংঘাতের আলামত
রাজনীতিতে সংঘাত-সহিংসতা বাড়ছেই। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে এই অবস্থা আরও প্রকট রূপ নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘খেলা হবে’ বক্তব্যের জবাবে বিএনপি নেতারাও ‘পাল্টা খেলার’ হুঁশিয়ারি দেওয়ায় পরিস্থিতি ক্রমে নাজুক হয়ে পড়ছে। রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতার জন্য শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কিন্তু সংঘাতময় যে পরিস্থিতি চলছে, সেটা থামার আপাতত লক্ষণ নেই। বিশেষত রাজনীতির মাঠের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে হুমকি, উত্তপ্ত বক্তৃতা প্রায়ই রাস্তায় কর্মীদের মধ্যে ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ অগ্নিতে ঘৃতাহুতির কাজ করছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক সহিংসতা যেমন থামানো দরকার, তেমনি নেতাদের ‘মুখের লাগাম’ও টেনে ধরা প্রয়োজন। নয়তো পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। সূত্র: সমকাল

ডিসেম্বরে ২০টি লোকোমোটিভ দিতে চায় ভারত

বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে ২০টি ডিজেলচালিত ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) দিচ্ছে ভারত। আগামী ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশ রেলওয়েকে লোকোমোটিভগুলো বুঝে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ভারত সরকার। লোকোমোটিভগুলো দ্রুত ভারত থেকে আনতে তোড়জোড় শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও। রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়েকে ভারত রেলওয়ে থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে কিছু লোকোমোটিভ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেসব লোকোমোটিভ দেখতে বাংলাদেশের পরিদর্শন টিমকে ভারতে যেতে বলা হয়েছে। ভারত সরকার ডিসেম্বর মাসেই লোকোমোটিভগুলো বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে চায়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

জৈন্তাপুরে ‘খাসি সম্প্রদায়ের’ জমিতে স্থাপিত ঘর অপসারণ
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের নয়াবাড়ী গ্রামে সেই টং ঘরটি সরিয়ে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন, যেটি খাসি সম্প্রদায় তাদের জমি বলে দাবি করছে। সোমবার উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘরটি সরানো হয় বলে জৈন্তাপুরের ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম জানান। ইএনও আল বশিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, টং ঘরটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই ভূমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে, তাই উভয় পক্ষের লোকজনকে সেখানে প্রবেশে নিষধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।“উভয় পক্ষের লোকজন একে অন্যের প্রতিবেশী হিসাবে যেভাবে বসবাস করে আসছেন সেভাবে চলাফেরা করবেন। সূত্র: বিডি নিউজ

পুলিশের হেফাজত থেকে একের পর এক আসামির পলায়ন, আসলে সমস্যা কোথায়?

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আদালত এলাকায় রবিবার পুলিশের মুখে স্প্রে এবং মারধর করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির পালিয়ে যাওয়া নিয়ে সারা দেশে আলোচনা চলছে। কিন্তু এভাবে পুলিশের হেফাজত থেকে বিভিন্ন মামলার অভিযুক্ত বা আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম নয়।পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত এক বছরে পুলিশের হেফাজত থেকে ১৫ জন আসামি পালিয়ে গেছে।বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে আদালতে আনা নেয়া করার সময়। পাশাপাশি, থানা হাজতখানা অথবা পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার উদাহরণও রয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও কমেছে তৈরি পোশাকের স্থানীয় মূল্য সংযোজন

৫১.৩৯ শতাংশে নেমেছে তৈরি পোশাক পণ্য (আরএমজি) রপ্তানিতে স্থানীয় মূল্য সংযোজন। প্রধানত বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) যা পৌঁছেছে ১০,২৭৪.৩৪ মিলিয়ন ডলারে। এসময়ে কাঁচামাল আমদানি ব্যয় ছিল ৪,৯৮৪.১৩ মিলিয়ন ডলার, যা আরএমজি খাতের মোট রপ্তানি আয়ের ৪৮.৫১ শতাংশ। আর নিট রপ্তানি হয়েছে ৫,২৯০.২১ মিলিয়ন ডলারের, আগের অর্থবছরের একই প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিল ৪,৮৩৯.৫ মিলিয়ন ডলার।র্মেন্টস খাতের কাঁচামাল আমদানির মূল্য হিসাব করতে, বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির বদলে কাঁচা তুলা, সিন্থেটিক/ভিসকস ফাইবার, সিন্থেটিক/মিশ্র সুতা, তুলার সুতা, টেক্সটাইল ফ্যাব্রিকস-সহ পোশাকের আনুষাঙ্গিক উপাদানের দাম বিবেচনা করে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই খাতের স্থানীয় মূল্য সংযোজন ছিল ৬৪.৯৮%, যা ২০১২-১৩ অর্থবছরের পর সর্বোচ্চ। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয় ৫৩.৪২% বা ৯,০৫৯.৪৪ মিলিয়ন ডলার। এসময় কাঁচামাল আমদানি ব্যয় ছিল ৪,২১৯.৯৪ মিলিয়ন ডলার। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।