আজ বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২২

সংগৃহীত ছবি-

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের একটি টিউব উদ্বোধন হবে আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর)। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পুরো টানেলের অবকাঠামো (পূর্ত) নির্মাণ প্রায় শেষের পথে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ সম্পূর্ণ শেষ এবং উত্তর টিউবের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

তবে পুরো টানেল জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টানেলের অভ্যন্তরে ৯৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখনও বাকি রয়েছে ৭ শতাংশ কাজ।

এ ব্যাপারে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ গণমাধ্যমকে আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টিউব উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি টানেলস্থলেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।

তিনি বলেন, চীনের সাংহাই শহরের আদলে চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি, টু টাউন’ মডেলে গড়ে তুলতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেল করছে সরকার। বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের একটি টিউবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে পুরো টানেলের উদ্বোধন হবে আগামী জানুয়ারিতে। ২৬ নভেম্বর টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের টিউবের নির্মাণকাজ শেষ হবে। উত্তর প্রান্তে টিউবের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরপর যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

চীনের কারিগরি সহায়তায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি। চীনের এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পের জন্য ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। অবশিষ্ট টাকার জোগান দেয় বাংলাদেশ সরকার।

টানেল চালুর প্রথম বছর ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে। এরমধ্যে প্রায় ৫১ শতাংশ কনটেইনার পরিবহনকারী ট্রেইলর, ট্রাক ও ভ্যান এবং ৪৯ শতাংশ বাসসহ ছোট যানবাহন। এমন ধারণা কর্তৃপক্ষের।

Nagad

বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। যার ৯৯ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। পরবর্তী সময়ে একই বছর প্রথম সংশোধনীতে ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা করা হয়। ওই সময়ে মেয়াদ ২০২০ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০২২ সাল করা হয়। সর্বশেষ দ্বিতীয় সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধু টানেলের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ নভেম্বরের প্রথম দিকে প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে এটি প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে পাস হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে যা একনেকে উঠবে।